উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:২১:৪৭ || পরিবর্তিত: ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:২১:৪৭

উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবন্ধীদের প্রতি নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,‘আমরা একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। যে সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম ও সুস্থ মানুষের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।২৮তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২১তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে এ ভবন উদ্বোধন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন,‘যেটা সবচাইতে বড় প্রয়োজন সেটা হলো আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ছোটবেলায় পড়েছি কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না। এই শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দিতে হবে। সবাই মানুষ, সবাই একসঙ্গে চলবে এটাই হচ্ছে বড় কথা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। তারা যেন পেছনে পড়ে না থাকে এ বিষয়ে আমরা তিনটি আইন প্রণয়ন করেছি এবং এসব আইন বাস্তবায়ন করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনাও আমরা গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘যারা প্রতিবন্ধিতা এবং অটিজমে ভুগছেন তাদের ভালোভাবে লেখাপড়া করে যত্ন নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তারা যেন মূলস্রোতের সঙ্গে মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে থাকতে পারে। মা-বাবাকেও কষ্ট স্বীকার করতে হবে প্রতিবন্ধিতা দূর করার জন্য।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করে একটি সংবিধান দিয়েছেন। সে সংবিধানে তিনি প্রতিবন্ধীদের অধিকারের কথা উল্লেখ করেছেন বলেও জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংবিধানে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা স্পষ্ট লেখা আছে। বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার যে পদক্ষেপ নিয়ে গেছেন, তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

অটিজম এবং প্রতিবন্ধী হিসেবে দেশে কোনো সচেতনতা এর আগে ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অত্যন্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশে অটিজম এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সারা পৃথিবীতে তিনি অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন অটিজম এবং প্রতিবন্ধী সম্পর্কে মানুষ যথেষ্ট সচেতন। প্রতিবন্ধী অসুস্থতা বা কোনো রোগ নয়। জন্মগতভাবে দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে প্রতিবন্ধী এবং অটিজম হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশে দেখেছি যে একজন প্রতিবন্ধীকে এমনভাবে ট্রেনিং করে দেওয়া হয়, সে আর কারও ওপর নির্ভরশীল থাকে না, নিজেই চলতে পারে। আমাদেরও এ ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা দরকার। তাহলে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীরা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং নিজেরাই চলতে পারবে।’

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

 

এ সম্পর্কিত খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন, সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন: প্রধানমন্ত্রী

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার

ইউক্রেন-ইসরায়েলকে আরও ৯৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

দিনে হিটস্ট্রোকের ভয়, চাঁদের আলোয় ধান কাটছে কৃষকরা

যেই ৩ আমলে সহজেই হবে বিয়ে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ