বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘জনসমর্থনহীন ও দিশেহারা এ সরকার আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন ভণ্ডুল করার লক্ষ্যেই এই উস্কানীমূলক আচরণগুলো করছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। জাতির এই ক্লান্ত্রিকালে দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তা আরও বেগবান করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান রিজভী।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে তৃতীয় কোনো শক্তির ষড়যন্ত্র বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। বিএনপি এ নেতা বলেন,  তার এই বক্তব্য গভীর সন্দেহজনক ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।  সিইসি নিরপেক্ষ ও সহিংসতামূক্ত নির্বাচন চাইলে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসী ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে পারতেন, কিন্তু নামান নি। সরকারের নির্দেশে সেনাবাহিনীকে দর্শক হিসেবে রাখারই চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

পুলিশ ও প্রশাসন ইসির সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন,  ‘পুলিশ ভোটের মাঠে এখন আওয়ামী লীগের লেঠেল বাহিনীর রুদ্রমূর্তিতে অবতীর্ণ হয়েছে।  তাহলে কেনো এই অকল্পনীয় সহিংসতা ও পাইকারি গ্রেপ্তারের দায় সিইসি নিজে না নিয়ে এখন তৃতীয় শক্তির ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন-তা রহস্যজনক দুরভিসন্ধি।  মানুষকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ পরিকল্পনায় তারা বেসামাল হয়ে পড়েছে। 

এমন কোনো গভীর চক্রান্তে আওয়ামী সরকারই মেতে আছে, যা তারা নিজের মুখে না বলে সিইসি’র মুখ দিয়ে বলাচ্ছে।’ ২০১৪ সালের মতো জাতির সাথে প্রতারণাপূর্ণ আর একটি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ক্ষমতার মসনদে থেকে যাবার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।  তিনি বলেন, ‘সরকারের এই কু-কৌশল বিএনপিসহ ২০ দল এবং ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য সহযোগী দলগুলো উপলব্ধি করতে পেরে ন্যায় ও গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেই।

এতেই মাথা খারাপের মতো আচরণ করতে শুরু করে সরকারি দল এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।’ গায়েবী মামলায় বিএনপি নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রিজভী আরও বলেন বলেন, ‘কোনো ঘটনাই ঘটেনি এমন ক্ষেত্রেও নাশকতার ঘটনা দেখিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে প্রায় চার সহস্রাধিক, যাতে আসামী করা হয় তিন লক্ষাধিক নেতাকর্মীকে।

প্রজন্মনিউজ২৪/রবিউল