১৭ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৬ শুরু হতে পারে মাহে রমজান

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৫:০৫

১৭ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৬ শুরু হতে পারে মাহে রমজান

পবিত্র মাহে রমজান মাস মুসলমানদের কাছে আত্মশুদ্ধি, সিয়াম সাধনা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের বিশেষ সময়। বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান প্রতি বছর এ মাসটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, জ্যোতির্বিদদের হিসাব অনুযায়ী ২০২৬ সালের রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১৭ই ফেব্রুয়ারি ( রোজ মঙ্গলবার)থেকে। তার আগের সন্ধ্যায় আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানের চাঁদ দেখা যেতে পারে। তবে রমজান শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। ইসলামিক ক্যালেন্ডার চন্দ্রচক্রের ভিত্তিতে নির্ধারিত হওয়ায় প্রতিবছর রমজান মাস গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১০-১১ দিন আগে আসে। ফলে বিভিন্ন ঋতুতে মুসলমানরা রোজা পালনের সুযোগ পান।

 

কুরআনে আল্লাহ পাক বলেছেন, 

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا كُتِبَ عَلَیْكُمُ الصِّیَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُوْنَۙ

 

যার অর্থ "হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলোর উপর, যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন করতে পারো"। এই আয়াতটি রোজার বিধান ও এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোকপাত করে। 

 

রোজার বিধান: আয়াতটিতে মুসলিমদের উপর রোজা ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর: পূর্ববর্তী জাতিগুলোর উপরও রোজা ফরজ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা রোজার ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা ও গুরুত্ব নির্দেশ করে। 

তাকওয়া অর্জন: রোজার মূল উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জন করা। তাকওয়ার মাধ্যমে একজন মুসলিম উন্নত জীবনবোধসম্পন্ন ও সত্যিকারের মানুষে পরিণত হতে পারে। 

এই আয়াতটি রমজান মাসের রোজার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যা বান্দাদের আত্মিক শুদ্ধি ও সংযমের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পথ দেখায়।

 

এই আয়াতটি পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরা আল-বাকারা (আয়াত নং ১৮৩) তে পাওয়া যায়।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ