প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৭:৪৪:০৯
নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইজিপি বাহারুল আলম। তিনি বলেন, যদি কাউকে মনে হয় তাকে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না, তাহলে এমন কাউকে নির্বাচনে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশের সাবেক আইজিপি ও ঊর্ধ্বতনরা মনে করছেন- বর্তমান পুলিশ দিয়ে নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধ সম্ভব নয়। পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা সক্ষম। এমন প্রশ্নে আইজিপি বলেন, আমরা সক্ষম; আপনারা যত যা-ই বলেন। আমরা ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগে কখনো একই সঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়ার আগে প্রত্যেকের বিষয় খোঁজ নেওয়া হবে। যদি কাউকে মনে হয় তাকে দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না, তাহলে এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে না।
নির্বাচন সামনে রেখে চ্যালেঞ্জের কথা বলছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলবেন নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন পক্ষকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ থানা ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে এক বছরে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা চাচ্ছি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা অর্জন করতে। আমাদের বিশ্বাস পারবো। আমি কোনো শক্তির কথা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের নেতাকর্মী ও সাপোর্টাররাও আমাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, আগামী নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার মোতায়েন হবে। গত নির্বাচনে ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার। নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩-৪ শ বেড়েছে। আমরা গত জুন মাস থেকে পেশাদারত্ব, নিরপেক্ষতা ও দক্ষতা এই তিন বিষয় সামনে রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ব্যবস্থায় একটি মডিউল তৈরি করে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছি।
এরই মধ্যে চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিন ধাপে ২২০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা সারাদেশে আগামী ৫ অক্টোবর থেকে দেশের ১৩০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে একযোগে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবে। আগামী ১৫ জানুয়ারি দেড় লাখ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম হবো। এই প্রশিক্ষণে অডিও, ভিডিওসহ অত্যাধুনিকভাবে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নির্বাচনে অস্ত্রের নীতিমালা মেনে অস্ত্র ব্যবহার হবে।
প্রজন্মনিউজ২৪
গার্মেন্টস শ্রমিদের বিক্ষোভ,তীব্র যানজট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে
‘বিএনপির উপর নিরর্ভর করছে এনসিপির সংসদে যাওয়া’
সাভারের ভাকুর্তায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদাণ
নোট অব ডিসেন্টের মাধ্যমে বিএনপির স্বৈরাচার হওয়ার চিন্তাভাবনা বোঝা যায়: তাহের
বরগুনাতে চাঁদা দাবি ব্যবসায়ীকে প্রাণনাশের হুমকি
ফের জামায়াত আমির নির্বাচিত হলেন শফিকুর রহমান
বড় দলের ‘দয়া’ নিয়ে মাঠে নামা প্রার্থীদের সতর্ক করে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল
মাইশা মৃত্যুর বছর পেরোলেও দৃশ্যমান হয়নি সড়কের নিরাপত্তা কার্যক্রম