বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি-খালাকে হত্যা করেন এই নারী

প্রকাশিত: ০৭ জুলাই, ২০২৫ ০৬:২৯:৪৪ || পরিবর্তিত: ০৭ জুলাই, ২০২৫ ০৬:২৯:৪৪

বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি-খালাকে হত্যা করেন এই নারী

বিষাক্ত মাশরুম খাইয়ে প্রাক্তন স্বামীর বাবা, মা ও খালা শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এরিন প্যাটারসন নামের এক অস্ট্রেলীয় নারী। আজ সোমবার দেশটির একটি আদালত ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

 

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আদালতে চলার পর অবশেষে রায় ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হলো বহুল আলোচিত এ মামলাটি। এ মামলা শুধু অস্ট্রেলিয়া নয়, সারা বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোর শিরোনাম হয়েছে।

 

রয়টার্স বলছে, তিনজন মারা গেলেও এরিন চারজনকে হত্যাচেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আদালত। ওই অতিথি সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। তবে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এরিন।

 

সোমবার আদালত থেকে জুরি বোর্ড জানান, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে পারিবারিক আয়োজনে দুপুরের খাওয়ার সময় গরুর মাংস ও পেস্ট্রি দিয়ে বানানো খাবারে ‘ডেথ ক্যাপ’ নামের বিষাক্ত মাশরুম মিশিয়েছিলেন এরিন। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক মাশরুম হিসেবে পরিচিত।

 

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই মেলবোর্নের অদূরে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের লিয়ংগ্যাথা শহরে নিজের বাসায় সাবেক শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে দুপুরের খাবারে আমন্ত্রণ জানান এরিন। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন তাঁর শাশুড়ি গেইল প্যাটারসন, শ্বশুর ডোনাল্ড প্যাটারসন, গেইলের বোন হিদার উইলকিনসন ও হিদারের স্বামী ইয়ান উইলকিনসন। তবে স্বামী সিমন সাবেক স্ত্রীর এ নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেনি।

 

 

৫০ বছর বয়সী এরিন অতিথিদের জন্য বিফ ওয়েলিংটন পরিবেশন করেন। বিফ ওয়েলিংটন এমন একটি খাবার, যেখানে গরুর মাংসের সঙ্গে মাশরুম পেস্ট ও পাফ পেস্ট্রি ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে ছিল সিদ্ধ আলু ও শাকসবজি। অতিথিদের দেওয়া সেই খাবার এরিন নিজেও খেয়েছিলেন।

 

খাবার গ্রহণের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে চার অতিথি। পরবর্তীতে দ্রুত তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেইল, ডোনাল্ড ও হিদার মারা যান। কোনোভাবে বেঁচে যান হিদারের স্বামী ইয়ান।

 

এরিনের আইনজীবী বলেন, খাবার খেয়ে তাঁর মক্কেলও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালতে মেডিকেলের কাগজপত্রও জমা দেন তিনি। পরে জানা যায়, বিফ ওয়েলিংটনদের মধ্যে বিষাক্ত ডেথ ক্যাপ মাশরুমের মিশ্রণ ছিল।

 

আইনজীবীরা জানান, এরিন ও সিমনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছিল। বিচ্ছেদের পরও তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় ছিল। সিমন ও এরিন দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। দুপুরের খাবারের সময় তারাও সেখানে ছিল, কিন্তু বিফ ওয়েলিংটন খায়নি।

 

২০২৩ সালের নভেম্বরে এরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। গেইল, ডোনাল্ড ও হিদারকে হত্যায় অভিযুক্ত হয়েছেন এ নারী।

 

এমনকি হিদারের স্বামী ইয়ানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।


প্রজন্মনিউজ/২৪

এ সম্পর্কিত খবর

বড় দলের ‘দয়া’ নিয়ে মাঠে নামা প্রার্থীদের সতর্ক করে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

মাইশা মৃত্যুর বছর পেরোলেও দৃশ্যমান হয়নি সড়কের নিরাপত্তা কার্যক্রম

ইসির প্রতীক তালিকায় যুক্ত হলো শাপলা কলি

বিএনপির এখন ‘না’ বলার কোনো অপশন নাই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

চাঁদাবাজির অভিযোগ করায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল হামলা

জুলাইয়ে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

মেলিসার তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপ ক্যারিবীয় অঞ্চল, নিহত অন্তত ২৫

গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ফেলো নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশের রনি

চকলেট খেতে বাধা দেয়ায় ক্ষেপলেন সাবেকমন্ত্রী কামরুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ