হিলি স্থলবন্দরে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৪০০ টাকা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১১:৩৭:০০

হিলি স্থলবন্দরে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৪০০ টাকা

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নতুন জিরার আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে কেজি প্রতি জিরার দাম কমছে ৪০০ টাকা। একমাস আগেও ১১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে জিরা। একই জিরা বর্তমানে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

১২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার)  দুপুরে হিলি স্থলবন্দরের মসলা বাজার ঘুরে জানা যায়, গত বছরে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে। ডলার সংকট ও ভারতে জিরার ফলন কম এবং আমদানি কমে যাওয়ার অজুহাতে দাম বেড়ে ১১২০ টাকা পর্যন্ত পৌছায়। 

হিলি স্থলবন্দরের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা উঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দাম কমে যাচ্ছে। পণ্যটির দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষেরা। 

এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানিকৃত ভালো মানের কাকা জিরা , বাবা জিরা , মধু জিরা ও অমরিত জিরা ৭২০ টাকা এবং সোনা জিরা ৭৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৭৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, এক মাস আগেও জিরার আকাশ ছোঁয়া দাম ছিল। এর আগেও ১০০ গ্রাম জিরা ৪০ টাকায় কিনেছি। সেই জিরা কিনতে হয়েছে ১০০ টাকায়। আজকে মসলা কিনতে এসে শুনলাম কেজি প্রতি জিরার দাম ৪০০ টাকা কমেছে। তাই এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকায়। 

বগুড়া থেকে আসা জিরা ক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, আমি স্বপ্নপূরীতে ঘুরতে এসেছিলাম। সেখানে ঘুরে হিলি স্থলবন্দর ঘুরেও দেখলাম। হিলিতে কম দামে মসলা পাওয়া যায়। তাই মসলা কিনতে আসলাম। আমি বগুড়াতে প্রায় তিন মাস আগে ১২শত টাকা কেজি দরে জিরা কিনেছি। হিলিতে এসে এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকা দিয়ে। 

হিলি বাজারে বিসমিল্লাহ্ মসলা ঘর এর ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বলেন, গত বছরে ভারতে জিরার ফলন কম হওয়ায় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিও কমে যায়। সেকারণে জিরার দাম বাড়তে বাড়তে ১১৫০ টাকা কেজি দরে উঠে। বর্তমান ভারতে নতুন জিরা উঠায় আমদানি বেড়েছে। তাই দামও কেজি প্রতি কমেছে ৪০০ টাকা। আমরা ৭১০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আশা করছি আগামীতে দাম আরও কমে আসবে। আগে তো দাম বেশির কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছিলো। আগে ক্রেতারা ১০০ গ্রাম জিরা কিনতো এখন এক কেজি করে ক্রয় করেছে। আগের চেয়ে বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সাদা এলাচ ও কালো ফলের দাম একটু বেশি। তবে অন্যান্য মসলার দাম স্বাভাবিক আছে। 


প্রজন্মনিউজ২৪/এএন
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ