স্বাধীনতা কাপ: কিংস অ্যারেনাতেই বেশি ম্যাচ

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০৬:০০:৪৯

স্বাধীনতা কাপ: কিংস অ্যারেনাতেই বেশি ম্যাচ

অনলাইন ডেস্ক: ঘরোয়া ফুটবলের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট ছিল ফেডারেশন কাপ। গত দুই মৌসুম স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শুরু হচ্ছে নতুন ফুটবল মৌসুম। আজ বিকেলে বাফুফে ভবনে টুর্নামেন্টের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ড্র অনুষ্ঠানে গ্রুপিংয়ের চেয়ে ভেন্যু বন্টনেই বেশি সময় লেগেছে। স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ পর্বে মোট ১৫ ম্যাচ। সেই ১৫ ম্যাচের ৮টি পড়েছে কিংস অ্যারেনায়। বাকি দুই ভেন্যু গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে তিনটি আর মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লে.মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বাকি চারটি ম্যাচ।

সাম্প্রতিক সময়ে বসুন্ধরা কিংস বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফুটবল ভেন্যু। এই ভেন্যুতে লিগের ম্যাচ ও জাতীয় দলে খেলা, অনুশীলন হয়েছে। এবার স্বাধীনতা কাপের টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বের প্রায় ৬০ শতাংশ খেলা পড়েছে কিংস অ্যারেনায়। নভেম্বরে বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের হোম ম্যাচ রয়েছে। তাই স্বাধীনতা কাপে কিংসের অত্যাধিক ম্যাচ বসুন্ধরা কিংসের জন্য খানিকটা ঝুকিপূর্ণও।

স্বাধীনতা কাপ চারটি ভেন্যুতে হওয়ার কথা ছিল। কুমিল্লা ভেন্যুতে ক্রিকেট পীচ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে কিংস অ্যারেনা, গোপালগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্ট। ২৯-৩১ অক্টোবর প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট হওয়ায় গোপালগঞ্জে ঐ তিন দিন খেলা চালাতে পারবে না বাফুফে। সম্মেলন কক্ষে বসেই বাফুফে সদস্য ও গোপালগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস হোসেন মাঠ নিয়ে গোপালগঞ্জে আলোচনা করলেও প্রতিকার হয়নি।

লিগের দশ দল ও বাছাই থেকে উত্তীর্ণ ৩ দলসহ মোট ১৩ দল চার গ্রুপে বিভক্ত। বাছাই পর্বের তৃতীয় দল বিমানবাহিনী ফুটবল দল কোন গ্রুপে পড়বে সেটার নির্ধারণ হয়েছে। বিমানবাহিনী বি গ্রুপে পড়ায় এই গ্রুপটি শুধু চার দলের বাকি তিন গ্রুপ তিন দলের। স্বাধীনতা কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস পড়েছে ডি গ্রুপে। ঐ গ্রুপে তাদের দুই প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী ও নেভী ফুটবল দল। গত আসরে রানার্স আপ শেখ রাসেল পড়েছে ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে বি গ্রুপে। এই গ্রুপের অন্য দুই দল রহমতগঞ্জ এবং বিমানবাহিনী ফুটবল দল। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সি গ্রুপে। তাদের দুই প্রতিপক্ষ ফর্টিজ ও সেনাবাহিনী। গত আসরে চমক দেখানো বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে এ গ্রুপের অন্য দুই দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

২৭ অক্টোবর শুরু হওয়া স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব শেষ হবে ৩ নভেম্বর। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। এএফসি কাপ ও জাতীয় ফুটবল দলের ব্যস্ততায় স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব শুরু হবে ২ ডিসেম্বর থেকে। স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়ন ৫ ও রানার্স আপ ৩ লাখ টাকার অর্থ পুরস্কার রয়েছে। গত আসরের প্রাইজমানি ও অংশগ্রহণ ফি এখনো পায়নি ক্লাবগুলো। ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাফুফের লিগ কমিটির আহ্বায়ক ও অন্যতম সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, 'ক্লাবগুলো আমাদের বড় অংশীদার। গত আসরে আমরা তাদের অর্থ দিতে পারিনি এটি সত্যি। তারা আমাদের বাস্তবতা এবং সীমাবদ্ধতা অনুধাবন করে অনেক সহনশীল। এজন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা এবার অবশ্যই ক্লাবগুলো আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য চেষ্টারত।’

গ্রুপ এ- বাংলাদেশ পুলিশ, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

গ্রুপ বি- ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল, রহমতগঞ্জ ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী।

গ্রুপ সি- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ফর্টিজ, আর্মি ফুটবল দল।

গ্রুপ ডি- বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী ও নেভী ফুটবল দল।


প্রজন্মনিউজ২৪/এফএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ