সংবাদ সম্মেলনে মেম্বরের দাবীঃ হাই কোর্টের আদেশ মানছেন না প্রশাসন

প্রকাশিত: ০৯ মার্চ, ২০২১ ১০:৫২:২৫

সংবাদ সম্মেলনে মেম্বরের দাবীঃ হাই কোর্টের আদেশ মানছেন না প্রশাসন

শামসুদ দোহা, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা মৌজার কামারেরহাট গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হবি মেম্বর আজ সোমবার দুপুরবেলা নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন।

লালমনিরহাট জেলা ও পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন এবং বুড়িমারী ইউনিয়ন তহসিলদার তাঁর বাপ দাদা'র পৈতিক জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করে পৈতৃক জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ করার কারণে চলতি মৌসুমে ওইসব জমির উপরে থাকা তামাক, ভুট্টা ও অন্যান্য ফসল মেরে ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত তাঁর পরিবার বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এসময় তাঁর বড় ছেলে রফিকুল মেম্বর, ছোট ছেলে ফিরোজসহ এলাকাবাসীও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মেম্বর হাবিবুর রহমান হবি বলেন, ১৯৬৯ সালের ৩১ মার্চ ৫৭৫২ দলিল মূলে ১১৪০ খতিয়ানের ৯'১৬ একর জমির মালিক তাঁর বাবা মৃত সজেতুল্যা প্রধান। পৈতৃক সুত্রে পাওয়া ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। গোপনে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক ও ইউনিয়ন তহসিলদার ১ নং খাস খতিয়ান রেকর্ড ভুক্ত করেন বলে গত ২৫ জানুয়ারি লালমনিরহাট জেলা জজ আদালতে ৬৫/১৫ নং আপীল আবেদনে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চান।বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিলে হবি মেম্বর মামলাটির কাগজপত্র তুলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মহামান্য হাই কোর্টে আবেদন করেন।

গত ৩ মার্চ তারিখে হাই কোর্টের ৬ মাসের স্থগিতাদেশ পাওয়ার পরও তাঁর প্রায় ৩ একর জমিতে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলমান আছে দাবী করে সবার উপস্থিতিতে অশ্রুসিক্ত কন্ঠে হবি মেম্বর আক্ষেপ করে বলেন, মহামান্য হাই কোর্টের আদেশও মানছেন না প্রশাসন।

হবি মেম্বর বলেন, সরকারী কাজে বাঁধা দিলে ৩ বছরের জেল হতে পারে বলে তাঁর পরিবারের লোকজনকে হুমকি প্রদান করেন প্রশাসন। ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসুস্থ্য হবি মেম্বর। 

এ ব্যাপারে কথা বলার প্রয়োজনে পাটগ্রাম ইউএনও কামরুন নাহারের ফোনে কল করেও সংযোগ মিলেনি। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মহামান্য হাই কোর্টের আদেশ অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ৫৩ টি ঘরের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আরও ৪৭ টি ঘর করা হবে বলে ঘরের কাজে নিয়োজিত রাজ মিস্ত্রীরা জানান। প্রতিটি ঘরের সামনে বারান্দাসহ ডাবল রুম পার্টিশনসহ ৩টি দরজা, ৫ টি জানালা, পিছনের দিকে বারান্দায় কিচেন ও টয়লেট সংযুক্ত বরাদ্দ ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম ছাড়া জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের এসব কাজ পদাধিকার বলে প্রতিটি উপজেলায় ইউএনও কাজ তদারকি করেন বলে জানা গেছে।#

প্রজন্মনিউজ২৪/ফাহাদ

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ