মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৪৪:১০ || পরিবর্তিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০২:৪৪:১০

মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে ২৬% পরিবার

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের এক-চতুর্থাংশ পরিবার খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা মেটাতে ঋণ করে। শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষই এ জন্য বেশি ঋণ করছে। শহর ও গ্রামের মানুষ এ ঋণের বড় অংশই নিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে চড়া সুদে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্যনিরাপত্তা পরিসংখ্যান-২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। দেশে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার মাত্রা ও তার প্রভাব এবং খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় মানুষের ঋণ গ্রহণ, অর্থ ব্যয়সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে এ জরিপে। গত বছরের ১৫ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত দেশের মোট ২৯ হাজার ৭৬০ পরিবারের ওপর জরিপ করে এ তথ্য সংগ্রহ করে বিবিএস।

বাসাভাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াতসহ প্রতিটি খাতেই জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ কমে গেছে।

সাধারণত অর্থ বা অন্যান্য সম্পদের অভাবের কারণে খাদ্য গ্রহণ বা খাওয়ার ধরনে বিঘ্ন হলে তাকে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিবিএস বলছে,খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা সরাসরি জনস্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়। আর্থসামাজিক বৈষম্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়টি কখনো জীবন হুমকিরও কারণ হতে পারে। বিবিএসের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ পরিবার তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আর ২২ শতাংশ পরিবার মাঝারি বা তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

এদিকে দুই বছর ধরে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়তি। তাতে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোগ্যপণ্যের পাশাপাশি তেল, সাবান, শ্যাম্পুর মতো নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দামও বেড়েছে। এ ছাড়া বাসাভাড়া, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, যাতায়াতসহ প্রতিটি খাতেই জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে পরিবর্তন।অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ কমে গেছে।আমাদের বিভিন্ন জরিপে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে বিবিএসের তথ্যের চেয়েও বেশিসংখ্যক পরিবার এখন খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা এসব পরিবারের পক্ষে ঋণ করে টিকে থাকাও ক্রমেই দুষ্কর হয়ে উঠছে। তাই বিশাল এই জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়ানো জরুরি।


বিবিএসের হিসাবেই, দেশে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। বাজারে পণ্যমূল্য যতটা বেড়েছে,সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। একারণে জীবনযাত্রার খরচ সামাল দিতে ঋণ করছে নিম্ন আয়ের মানুষ। খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার জরিপেও ঋণ গ্রহণের এ তথ্য উঠে এসেছে।বিবিএসের জরিপের তথ্য অনুযায়ী,দেশে বর্তমানে মোট পরিবার বা খানার সংখ্যা ৪ কোটি ১০ লাখ।এর মধ্যে প্রায় ২৬ শতাংশ পরিবার মৌলিক চাহিদা পূরণে ঋণ করছে।এসব পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে গ্রামের মানুষ। বিবিএসের হিসাবে, মৌলিক চাহিদা পূরণে ঋণগ্রস্ত পরিবারের প্রায় ২৮ শতাংশই গ্রামের। শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় এ হার যথাক্রমে ২৪ ও ১৫ শতাংশ।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা 

এ সম্পর্কিত খবর

‘ডামি’ সরকারের উন্নয়নের ভেল্কিবাজীতেবাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিন বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের

নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হাবিপ্রবি কেন্দ্রের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

যে শর্তে ইসরাঈলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস

আইনমন্ত্রীর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার না বাংলাদেশের

চরফ্যাসনে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

ইউপি সদস্য কর্তৃক অসহায় নারীকে ধর্ষণ এক লক্ষ টাকায় ধামাচাপা

টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণের দুই দুর্ধর্ষ অপহরণকারী গ্রেফতার

থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

চিফ হিট অফিসার ডিএনসিসির কেউ নন : মেয়র আতিক

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ