তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৯:১১ || পরিবর্তিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৯:১১
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারও কমেছে রাতের তাপমাত্রা। শনিবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
টানা তিনদিন ধরে ১২-এর ঘরেই ছিল তাপমাত্রার পারদ। এর আগে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তেঁতুলিয়ায়। তবে দুদিন ধরে অপরিবর্তিত ২৭ ডিগ্রিতেই রয়েছে দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা।
কয়েকদিন ধরে রাতের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘনকুয়াশার কারণে কনকনে শীত অনুভূত হয়। রাতভর হালকা থেকে ঘনকুয়াশায় ঢেকে থাকে এলাকা। তবে ভোরের দিকে সূর্য উদয়ের সঙ্গে কমতে থাকে ঠান্ডার অনুভূতি। শনিবার সকালেও সূর্য উদয়ের সঙ্গে রোদের কারণে ঠান্ডার অনুভূতি কমতে থাকে। রোদের জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বস্তি মিললেও বিকেলের পর থেকে আবারও শুরু হয় শীতের অনুভূতি। কনকনে শীত অনুভূত হয় পরদিন সকাল পর্যন্ত। এতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে সকালে কাজের খোঁজে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষের মাঝে।
কৃষক মোমেন হোসেন জানান, প্রতি বছর শীত আসলে আলুসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদ করি। কিন্তু এ বছর সকালে শীতের কারণে কাজে বের হতে পারি না।
তিনি বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। কীটনাশক স্প্রে করবো কিন্তু ঠান্ডার কারণে সাহস পাচ্ছি না। এই ঠান্ডা সকাল দশটা পর্যন্ত থাকে, গায়ে থাকে শীতের কাপড়।
উপজেলা সদরের অটোরিকশা চালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, আজকে একটু বেশিই ঠান্ডা মনে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিদিন সন্ধার পর থেকে সকাল পর্যন্ত খুব ঠান্ডা লাগে। রাতে ঘনকুয়াশাচ্ছন্ন থাকে এলাকা। রাত থেকে পরদিন সকালের দিকে বেশ শীত অনুভূত হয়। তবে সূর্য উঠার পর ঠান্ডার অনুভূতি কমে যায়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দিনের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। গত বুধবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি রেকর্ড করা হচ্ছিল। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক বা দুইটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।