পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা

প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:২৩:৩৩ || পরিবর্তিত: ০২ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:২৩:৩৩

পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাবির প্রশাসনিক ভবনে তালা

প্রজন্মডেস্ক:পোষ্য কোটা বাতিল, জুলাই বিপ্লববিরোধী শিক্ষক-কর্মচারীদের শাস্তি, এবং বিতর্কিত দুই শিক্ষককে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিন দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়েছেন।

এই তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছেন দুই উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান (শিক্ষা) ও অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন (প্রশাসন)। তবে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব তখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না।

তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. পোষ্য কোটা আজীবনের জন্য বাতিল।
২. আওয়ামী লীগের দোসর বলে চিহ্নিত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি।
৩. বিতর্কিত সহকারী প্রক্টর নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, "যদি দাবিগুলো মানা না হয়, তবে শীতকালীন ছুটি কিংবা গ্রীষ্মকালীন ছুটি—কিছুই চলবে না। প্রশাসনিক ভবন অনির্দিষ্টকালের জন্য তালাবদ্ধ থাকবে।" তিনি প্রশাসনকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলেন, "শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পরিবর্তে প্রশাসন তাদের উপেক্ষা করছে।"

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য ১% কোটা রাখার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক বলে দাবি করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব। তিনি বলেন, "তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে ভবিষ্যতে এটিও বাতিল করা হতে পারে।" বিতর্কিত নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "তথ্যগত ভুলের কারণে এমনটি ঘটেছে, যা ভবিষ্যতে আর হবে না।

অবরুদ্ধ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, "আমি আটকে পড়িনি, অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তবে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন অবশ্যই গণতান্ত্রিক উপায়ে হওয়া উচিত।"


প্রজন্মনিউজ২৪/তারেক

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ