প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:২৩:২৫
প্রজন্ম ডেক্স: বাংলাদেশকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। তবে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের সংস্কার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালীকরণের কাজে এই অর্থ ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য সংস্থাটি চারটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠককালে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা এসব শর্ত বেঁধে দেন।
জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের ঋণের মধ্যে ৭৫ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে নীতি সংস্কারের জন্য। আগামী ডিসেম্বরে এই সহায়তা পাওয়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ঋণ পেতে বাংলাদেশকে যেসব শর্ত মানতে হবে—ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ আদায়ে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির কাঠামো তৈরি এবং কোনো ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী কে হবেন, তা নির্ধারণে নীতি প্রণয়ন করা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ফরেনসিক নিরীক্ষা করলে সেটির কার্যপরিধি কী হবে, তা নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবিধান বাস্তবায়নে (এনফোর্সমেন্ট) পৃথক বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। এ ছাড়া বাকি ২৫ কোটি ডলার ঋণ মিলবে বিনিয়োগ ঋণ ও গ্যারান্টি–সুবিধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
এদিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। গতকাল এডিবির একটি প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে। তিন ধাপে এই টাকা ছাড় করবে সংস্থাটি। তবে এ জন্য খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। এসএমই খাতে ঋণ দিতে নতুন প্রকল্প করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানান, এসব ঋণ পেতে কিছু শর্ত পালন করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অধীনে ফরেনসিক নিরীক্ষার কার্যপরিধি নির্ধারণ করতে হবে। তবে শর্তগুলোর ৫০ শতাংশের বিষয়ে ইতিমধ্যে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনুসর। বৈঠকে কীভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানো ও প্রবৃদ্ধিসহ নানা বিষয় উঠে আসে। আর্থিক খাত সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে বলে গভর্নরকে আশ্বাস দেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্যাংক খাতের সংস্কারে জোর দেয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নতুন গভর্নর নিয়োগের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টিরই মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ ছিল বহুল আলোচিত এস আলম গ্রুপের হাতে। এসব ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা বের করে নিয়েছে, যা আদায় করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ব্যাংকগুলো। তারল্য-সংকটে পড়ে এসব ব্যাংকের স্বাভাবিক লেনদেন কার্যক্রম ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এম বি
ভারতকে প্রধান সরবরাহকারী কেন্দ্র তৈরী ঘোষণা অ্যাপলের
ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খামেনির
টিকিট জটিলতায় স্বপ্নভঙ্গ ১৮ হাজার শ্রমিককে সুখবর দিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
চোখের কী হবে জানি না! মাথাভর্তি গুলি নিয়ে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়
ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রশিবিরের কর্মী সমাবেশ সম্পন্ন
৯ বছর আটকে আছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর অনার্সের ফলাফল
চীনের সুদের হার বাড়ানোর প্রস্তাব অগ্রহণযোগ্য’