ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:৩১:৫১

ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক: ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে গাবতলীতে। বাস থেকে নেমে ঢাকার বিভিন্ন গন্তব্য যেতে যাত্রীরা খুঁজছেন যানবাহন। পরিবারসমেত আশা যাত্রীদের প্রথম পছন্দ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। অটোরিকশাচালকরা বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চাইছেন অস্বাভাবিক ভাড়া। প্রচণ্ড গরমে হয়রান গ্রাহক বেশি ভাড়া দিয়েই ছুটছেন গন্তব্যে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে গাবতলী বাস টার্মিনালে এমন চিত্রই দেখা যায়। টার্মিনালটির উল্টো পাশের সড়কে যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে বাস, এরপর ব্যাগ ও লাগেছ নামিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা খুঁজতে দেখা যায় যাত্রীদের। বেশিরভাগ যাত্রীর কাছেই ছিল একাধিক ব্যাগ। এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে বলতে দেখা যায় অটোরিকশাচালকদের।

কলেজছাত্র রাতুল ইয়ামিন যাবেন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে। গাবতলী টার্মনাল থেকে তিনি ৩০০ টাকায় ভাড়ায় একটি অটোরিকশা ঠিক করেছেন। এরআগে কয়েকটি অটোরিকশাচালকের সঙ্গে দামাদামি করেছেন। রাতুল বলেন, ৩-৪টা দেখলাম তারা ৬০০ টাকা, ৭০০ টাকা, ৭৫০ টাকা চাইছে। অথচ ৩০০ টাকায় অটোরিকশা পেলাম। এটাই স্বাভাবিক ভাড়া। ওই অটোরিকশাচালক বলেন, যারা গন্তব্য চেনে না তারাই বেশি ভাড়া বলছেন।

টার্মিনালের বিপরীতে এ মজিদ খান টাওয়ারের সামনে সাদ্দাম হোসেন নামের একজন যাত্রীকে ভাড়া নিয়ে দামাদামি করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, আমি যাবো টঙ্গী কলেজগেট। ভাড়া চাইছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ১৭ কিলোমিটার রাস্তা, আমি ৫০০ টাকা বলেছি। কয়েকটা অটোরিকশা দেখেছি। কেউ যেতে চাইছে না। আব্বা-আম্মাকে নিয়ে বিপদে পড়েছি।

ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের ‘পকেট কাটছেন’ অটোরিকশাচালকরা

একই জায়গা থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের ভাড়া ৭০০ টাকা চান একজন অটোরিকশাচালক। জবাবে রাজবাড়ী থেকে আসা যাত্রী মিল্লাত হাসান তাকে ৫০০ টাকা বলেন। কিন্তু ৬৫০ টাকাতেও যেতে রাজি না অটোরিকশাচালক।

মিল্লাত হাসান বলেন, এত গরমে দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য কেউ দামাদামি করছে না। অটোরিকশাচালকদের কথামতো ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে। আরেক যাত্রী জানালেন, চালকরা দ্বিগুণ ভাড়া চাইছেন। সিএমএইচের ভাড়া চাইছে ৫০০ টাকা। যাত্রীরা ও নিরুপায় হয়ে উঠে যাচ্ছে।

তবে অটোরিকশাচালকরা বলছেন তারা ন্যায্য ভাড়া দাবি করছেন। শাহিন নামের একজন চালক বলেন, আজ যাত্রী বেশি, অটোরিকশা কম। এজন্য অনেকেই ভাড়া বেশি চাইতে পারে। তবে বেশি ভাড়া দেওয়া পাবলিক এখানে নেই। ৩০০ টাকার ভাড়া ১৮০ টাকা বলছে যাত্রীরা, এজন্য খ্যাপ ছেড়ে দিচ্ছি।

আরেকজন চালক বলেন, যাত্রীর বলে এক জায়গায় যাবে কিন্তু নামে অন্য জায়গায়। দূরে নামে, তার ওপর একেক জনের ৫-৬টা ব্যাগ ওঠাতে-নামাতে হয়। চালকরা সামান্য বেশি ভাড়া চাইতে পারে। তবে কেউ বেশি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে না।

এদিকে আজ গাবতলীতে ফিরে আসা যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। কিছুক্ষণ পর পর বিভিন্ন গন্তব্যের বাস যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছে। যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গের কয়েকটি বাস দেরি করে ফিরেছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঈদে আগের মতোই বাড়তি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন তারা।


প্রজন্মনিউজ২৪/এএন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ