হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভার ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৪ ০১:২৩:৪৮

হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের কর্মীসভার ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি হয়নি।  সেই দীর্ঘ এক যুগের অবসান ঘটিয়ে হাবিপ্রবি শাখায় কর্মীসভা করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

গত ৬ মার্চ (সোমবার) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কর্মীসভার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভা আগামী ১১ মার্চ, ২০২৪ (সোমবার) আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এমন সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ও দীর্ঘ দিনের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্হান ধরে রাখতে মরিয়া সবাই। ইতোমধ্যেই কর্মীদের একত্রিত করে সংঙ্ঘবদ্ধ শক্ত অবস্হানের জানান দিতে শুরু করেছেন তারা। ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে নানান সাজে আর বিরাজ করছে আমেজ।কেন্দ্রীয় কমিটির এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদ প্রত্যাশী মেহেদী হাসান বলেন,ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। দীর্ঘ ১০ বছর আমাদের ক্যাম্পাসে কমিটি না থাকায় সংগঠনের কার্যক্রম অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছিলো । এমন সময়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্ধের ১১ মার্চ কর্মীসভার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আশা করি সামনের দিনগুলোতে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরেক পদ প্রত্যাশী মো:মোস্তামসির মামুন বলেন, সোনার বাংলার সোনার সংগঠন,রূপসী বাংলার রূপসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, হাবিপ্রবি'র কর্মীসভার তারিখ ঘোষনা হওয়ায় আমরা সকলে খুশি এবং আনন্দিত।  কর্মীসভা সফল হোক। দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

কর্মীসভা নিয়ে কোনো আশঙ্কা করছেন কি নাহ জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কোনো ধরনের আশঙ্কা করছি না । শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি'র মশালবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ ছিলো, আছে এবং থাকবে। হাবিপ্রবিতে উৎসব মুখর পরিবেশেই কর্মীসভা সফল হবে এমনটাই আশা করছি।

ছাত্রলীগ কর্মী সোনাকান্ত রায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সোনার সংগঠন এবং বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি হোসেন সাদ্দাম ভাই আগামী ১১ মার্চ কর্মী সভা দিয়েছেন।আমরা এতে অনেক আনন্দিত ও মুখরিত। আশাকরি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখাতে এক যুগ পর সেন্ট্রাল কমিটি আসবে এবং যা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আগুয়ান হবে। হাবিপ্রবি পাবে নতুন জীবন, পাবে নতুন ভরসা যা দ্বারা বঞ্চিত ছাত্রসমাজের কল্যাণ ও সুন্দর দিন নিয়ে আসবে। ১১ মার্চের কর্মী সভা সফল হোক।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১০ সালে ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থী ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েলকে সভাপতি ও কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী অরুণ কান্তি রায় সিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ১১ বছর পর  ২০২১ সালে ২৭ নভেম্বর হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। 
এরপর ওই বছরই ১৩ ডিসেম্বর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত জমা নেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী ও উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান। গতবছর ২২ সেপ্টেম্বর হাবিপ্রবিতে আসেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ওই সময় তিনি খুব শীঘ্রই হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার কথা জানান।


প্রজন্মনিউজ২৪/আর
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ