প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৪:১৫:৩০ || পরিবর্তিত: ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৪:১৫:৩০
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ রক্তে রাঙানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস, ভাষা আন্দোলনের মাস। বাঙালি জাতির কাছে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানোর মাস। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিবাদ প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষকাল। এ মাসের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে। কারণ এই দিনটি ভাষা আন্দোলন দিবসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৯৫২ সালের এই দিনে ছাত্র ও কর্মীরা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
এ দিনটিকে সারা বিশ্বে স্মরণীয় করে রাখতে ইউনেস্কো 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, সম্মান জানিয়েছে ভাষা শহীদদের প্রতি। এটি এখন আর শুধু আমাদের মাতৃভাষা দিবস নয়। প্রতি বছর 'একুশে ফেব্রুয়ারি' সারা বিশ্বে পালিত হবে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে। ভাষার মাসর মাতৃভাষা দিবস নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী তাদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন। তাদের কথাগুলো তুলে ধরেছেন—রিশাদ হোসেন।
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম রুমন বলেন, ফাল্গুনের লাল রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়া ফুটেছে ডালে ডালে। এই রক্তাক্ত কৃষ্ণচূড়া আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ভাষাশহীদদের রক্ত বিসর্জনের 'ভাষার মাস' ফেব্রুয়ারি এসেছে। বাংলা ভাষা আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের ঐতিহ্য। ভাষার মাধ্যমেই আমরা প্রকাশ করি আমাদের ভাবনা, আমাদের অনুভূতি। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দিনটি আমাদের গর্ব এবং আমাদের অহংকার। এই অহংকারের দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করবো। আমরা আমাদের ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা বজায় রাখবো। আমরা আমাদের ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকবো।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সুজন হোসেন বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজপথে যাদের আত্মত্যাগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পেয়েছি। সেই সব অকুতোভয় ভাষা সৈনিকদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ অভিবাদন। ২১শে ফেব্রুয়ারি শুধু একটি দিন নয়, এটি একটি চেতনা, একটি গৌরব এবং একটি অনুপ্রেরণার অনন্য নিদর্শন। এই দিনের মূল্যবোধ ধারণ করে আমরা আমাদের জীবনকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলতে পারি এবং আমাদের দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমার মনে হয়, মাতৃভাষা বাংলার মোহে প্রাণ দিয়েছিলেন সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত, শফিউরসহ নাম না জানা আরও বীর শহীদেরা। সে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে আমরা ব্যর্থ। ৭২ বছরের এসেও অনেক অফিস আদালতে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার দেখছি।
ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মুমিনুর রহমান বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারি আমাদের চেতনা গৌরব এবং অনুপ্রেরণার অনন্য নিদর্শন। ১৯৫২ সালের এই দিনে, আমাদের ভাষা সৈনিকরা বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের মনে জাগ্রত করেছিল ভাষার প্রতি অটুট প্রেম এবং স্বাধীনতার প্রবল আকাঙ্ক্ষা। এই চেতনাই আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে নিয়ে যায়।
বাংলা ভাষা আমাদের গৌরব। এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের বাহন। কবিতা, গান, সাহিত্য, এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার অবদান অপরিসীম। আমরা গর্বিত যে, আমাদের ভাষা পৃথিবীর অন্যতম সমৃদ্ধ ভাষা। একুশের আন্দোলন আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য। এটি আমাদের শেখানো যে, ন্যায়ের জন্য সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়।
প্রজন্মনিউজ২৪/এএন
ইরাকে সমকামি সম্পর্কে জড়ালে ১৫ বছরের সাজা
নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের গিুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
অমুসলিমকে কোরবানির গোশত দেওয়া যাবে?
শাকিবের জন্য পাত্রী খুঁজছে পরিবার, বছর শেষে বিয়ে
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা
দাবদাহে পুড়ছে লিচুর মুকুল, ঝরছে গুটি
পবিপ্রবি ও ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি
মেয়েকে বিয়ে দিতে না চাওয়ায় অপহরনের স্বীকার তরুনী
‘ডামি’ সরকারের উন্নয়নের ভেল্কিবাজীতেবাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী