শরীরে ট্যাটু আঁকার পর ইবাদত কবুল হবে?

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:৫৪:৩৭

শরীরে ট্যাটু আঁকার পর ইবাদত কবুল হবে?

অনলাইন সংস্করন: শরীরের কোনো অংশে ট্যাটু আঁকা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনের অন্তর্ভু্ক্ত ট্যাটু আঁকা। ট্যাটুর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিশপ্ত বলা হয়েছে হাদিসে। কারণ—এর মাধ্যমে মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজটি খুবই গর্হিত। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি সবচেয়ে সুন্দর কাঠামোতে মানুষ সৃষ্টি করেছি।’ (সূরা তিন, আয়াত, ৪)

তাই মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বিকৃত করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এ কারণেই পবিত্র কোরআনে অঙ্গবিকৃতিকে শয়তানের অনুসারীদের কাজ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। 

অভিশপ্ত শয়তান আল্লাহকে বলেছিল, ‘আমি অবশ্যই আপনার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে বেছে নেব, তাদের বিপথগামী করব, তাদের আশ্বাস দেব; তাদের পশুদের কান ফুঁড়তে বলব এবং তাদের আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি বিকৃত করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।’ (সুরা নিসা, আয়াত, ১১৭-১১৯) 

হাদিসে অঙ্গবিকৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অভিশপ্ত আখ্যা দেওয়া দেওয়া হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘যে নারী নকল চুল ব্যবহার করে এবং যে তা সরবরাহ করে, আর যে নারী ট্যাটু আঁকে এবং যে আঁকায়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৫৯৮; মুসলিম, হাদিস, ৫৬৯৩) 

অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে নারী সৌন্দর্যের জন্য ট্যাটু আঁকে এবং আঁকায়, যে নারী ভ্রু কাটে এবং দাঁত ফাঁকা করে, আল্লাহ তাআলা তাদের অভিশাপ দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস, ৫৬০৪) 

তবে ট্যাটু নয় তবে ট্যাটুর সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এমন আঁকাজোকা যা কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর আপনাআপনি মুছে যায়, ফিকহবিদদের ভাষ্য মতে, এমন অঙ্কন নাজায়েজ নয়। তবে শর্ত হলো—তাতে প্রাণীর ছবি বা অন্য ধর্মের প্রতীক জাতীয় কোনো কিছু থাকতে পারবে না এবং অজু-গোসলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হতে পারবে না। (হাশিয়াতু ইবনে আবিদিন: ৫ / ২৩৯) 

ট্যাটুর কারণে ত্বকে পানি পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি হলে অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। ফলে যত দিন ট্যাটু থাকবে, তত দিন অজু-গোসল আদায় হবে না। এবং এই অবস্থায় নামাজ আদায় হবে না। একইভাবে অস্থায়ী আঁকাজোকার কারণে পানি পৌঁছাতে না পারলেও অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না। আর যত দ্রুত সম্ভব না উঠিয়ে ফেলা এবং উঠানোর চেষ্টা করা উচিত। (আল-মাউসুয়াতিল ফিকহিয়্যাহ আল-কুয়েইতিয়্যাহ) 


প্রজন্মনিউজ২৪/এএন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ