সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় আল-আমিন সরদার (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা। জানা যায় আল-আমিন সরদার নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।

২৬ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দিবাগত গভীর রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ভারাশিমলা ইউনিয়নের,মার্কা গ্রামের নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আল-আমিন সরদার এর পিতা মোঃ আজিজুল সরদার জানান,শুক্রবার রাত্র ১২ টার দিকে আল-আমিন সরদার এর মা গুমরানোর আওয়াজ শুনতে পান আল-আমিন সরদার এর ফুফু  আল-আমিন সরদার এর ঘর থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান। পরে জানালা দিয়ে তার স্বজনরা দেখতে পায় আল-আমিন সরদার ঘরের আড়াই নাইলোন দঁড়ি দিয়ে ফাঁস দিয়ে বাঁচার জন্য চেষ্টা করছে। ৫০ মিনিট এর মতো ঘরের ইস্পাতের দরজা খোলার চেষ্টা করে অবশেষে কেটে খোলা হয় দরজা ইতি মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে যায় আল-আমিন সরদার এর শরীর।

প্রতিবেশি আক্তার হোসেন বলেন, আল-আমিনের সাথে যেটা ঘটেছে সেটা আল-আমিন এর মতো শিক্ষিত ছেলের থেকে এটা আশা করিনি। ধর্মীয় ও সমাজ সেবা মূলক কাজে সকলের থেকে এগিয়ে থাকতো আল-আমিন সরদার। প্রেম ঘটিত কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।দীর্ঘদিন একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো। তবে তাদের ভিতরে কি ঘটেছিলো জানি না।

আল-আমিন সরদার এর খালা প্রেমিকার এই চিত্রটি দিয়ে জানান প্রেমিকার একটি বাচ্চা আছে স্বামী প্রবাসে থাকে। শুক্রবার দিবাগত রাতে আল আমিন সরদার এ তথ্য সহ আরো কিছু তথ্য জানতে ফলে রাতে হয় দীর্ঘ ঝগড়া।

আল আমিন সরদার এর মামা ফোন থেকে কিছু মেসেজ পড়ে বুঝতে পারেন। ব্লাক মেইল করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে আল-আমিন সরদারকে। তার ফুফুরা তার ঘর থেকে রক্ত মাখা কাপড়ের টুকরো পাই তারা ধারণা করেন ভালোবাসার প্রমাণ দিতে আল-আমীন সরদার হাত কেটে রক্ত মুছেছে কাপড়ের টুকরো গুলোতে।

কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ময়না তদন্ত শেষে আল-আমিন সরদার এর স্বজনদের কাছে সন্ধ্যা ৬ টায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।

প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি