আগামীকাল থেকে মোটরসাইকেল পারাপারে চলবে ফেরি

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০৪:৪৬:৩৫

আগামীকাল থেকে মোটরসাইকেল পারাপারে চলবে ফেরি

অনলাইন ডেস্ক: ঈদের আমেজকে সামনে রেখে আগামীকাল ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট থেকে শরিয়তপুরের মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে। এ সময় ফেরিতে মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপার করা হবে। চালক ও আরোহীসহ প্রতিটি মোটর সাইকেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০টাকা। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পরই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি)। 

আজ সোমবার বিকেলে পোনে ৩টায় ফেরি কলমিলতা ৩টি মোটর বাইক নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝি কান্দি ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিসি মেরিন অফিসার মো. হানিফ এর নের্তত্বে বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএর এক দল কর্মকর্তা এসময় ফেরিটি নিয়ে মাঝি কান্দির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন সংস্থার শিমুলিয়া ঘাটস্থ্য ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন জানান, শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতিদিন দু’টি ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারপার করা হবে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিনের বেলায় ৩ ঘন্টা পর পর ফেরি ছাড়বে। তিনি জানান, গত শনিবার বিআইডাব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) আশিকুজ্জামানের নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফেরিঘাট ও নৌপথের চ্যানেল পরিদর্শন করেছেন। চ্যানেলের নাব্যতা সংকট এরই মধ্যে ড্রেজিং করে নিরসন করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে মিডিয়াম ফেরি কুঞ্জলতা ও কলমিলতা দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার করা হবে। ইতোমধ্যে পন্টুন, চ্যানেলসহ ফেরি চলাচলে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাঝিরকান্দি ঘাটও চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, এখন দু’টি ফেরি প্রস্তুত করলেও চাপ বেশি থাকলে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঈদকে কেন্দ্র করে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার বাইকারদের অনেকে এই নৌরুটে বাড়ি ফিরবে। পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ থাকায় ঈদ পরবর্তী প্রয়োজন সাপেক্ষে ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ফেরিতে মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপার করা হবে। তাই ঈদ ফিরতি যাত্রায়ও বাইক পারাপারে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি ফেরি চালু রাখা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শিমুলিয়ায় চারটি ফেরিঘাটের মধ্যে মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য ৪ নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাট প্রস্তুত করা হয়েছে। ফেরিতে মোটরসাইকেল প্রতি ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০টাকা (চালক ও আরোহীসহ)। 

এদিকে, নিরাপত্তার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে অনাপত্তি প্রদান করে সেতু কর্তৃপক্ষ। পদ্মা সেতুর ২২ ও ২৩ পিয়ার এবং ৩৮ ও ৩৯ নং পিয়ার এর মধ্য দিয়ে ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করার অনাপত্তি প্রদান করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। 

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম আহম্মদ আলী জানান, এখন ফেরি চলাচল করবে প্রাকৃতিক চ্যানেলে। তাই সেতু এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। কারণ আগের চ্যানেলে বড় চর পড়ে গেছে। তাই ফেরি পদ্মা সেতুর ২২ ও ২৩ নম্বে খুঁটির মাঝামাঝি দিয়ে প্রবেশ কিছুটা উপরের দিকে গিয়ে বামে মোড় নিয়ে আবার জাজিরা প্রান্তের ৩৮ ও ৩৯ নম্বার খুঁটির মাঝ দিয়ে নিচের দিকে বের হয়ে মাঝিরকান্দি পৌছাবে। আগে মাওয়া থেকে সোজা রুটে দূরত্ব ছিল প্রায় ১১ কিলোমিটার। এখন এই দূরত্ব আরও ২/৩ কিলোমিটার বাড়বে। তবে মাদারীপুরের পুরনো ঘাট বাংলাবাজারে ফেরি যাবে না। বাংলাবাজার ঘাট এরই মধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

অপরদিকে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-রুটে কয়েকটি লঞ্চ চলাচল করলেও রয়েছে যাত্রী সঙ্কট। কয়েক মাস ধরে এই লঞ্চগুলো মোটরসাইকেল পারাপার করা আসছে। পদ্মা সেতু চালুর পর দৃশ্যপট বদলে গেছে। ঈদ সামনে এমন সময় লাখো মানুষের ঢল ছিল শিমুলিয়ায়। ফেরিগুলোতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। লঞ্চগুলোও ছিল টুইটম্বুর। আর এখন একবারেই স্তব্ধ অবস্থা। পদ্মা সেতু এখন দক্ষিণের মানুষের আর্শিবাদ। তবে বাইক চলাচল বন্ধ রাখায় বাইকারদের ক্ষোভ রয়েছে। আশার কথা হচ্ছে বাইকারদের এই ক্ষোভ ও কষ্টের কথা ভেবে সরাকার শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে মোটর বাইক পারাপারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/জেড আই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ