ভারত থেকে আমদানির খবরে কমলো পেঁয়াজের দাম

প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৫:৩১:৫৪ || পরিবর্তিত: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৫:৩১:৫৪

ভারত থেকে আমদানির খবরে কমলো পেঁয়াজের দাম

প্রজম্ম ডেস্ক:

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ অন্তত ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।

গত দুদিন আগেও যে পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছিল কেজিতে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা।

এর আগে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ৩০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়। যদিও সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত ভারত থেকে আসা কোনো পেঁয়াজের চালান বন্দরে পৌঁছায়নি। তবে বিকেল থেকে পেঁয়াজের ট্রাক আসা শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।


বন্দরের স্থানীয় কাঁচা বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় দেশি শুকনা পেঁয়াজ এবং ৭০ টাকায় কাঁচা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত দেশি শুকনো পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত এবং দেশি কাঁচা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।

অন্যদিকে সদ্য আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের দাম কম আছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও দেশি কাঁচা পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই ক্রেতারা দেশি পেঁয়াজই বেশি কিনছেন। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেলে ২/১ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে। বাজারে শনিবার পর্যন্ত ১২০-১৩০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।

বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আতিক হাসান রুবেল জানান, ভারতের নাসিক থেকে ২৪৫ ডলারে প্রতি টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। এরসঙ্গে গাড়ি ভাড়া, কাস্টমস শুল্ককরসহ বিভিন্ন খরচ মিলে ৪০ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট থাকে। সব খরচ ধরে আমাদের হিসাব করতে হয়।

তিনি আরও জানান, রোববার হিলি দিয়ে আমরা ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু সেদিন পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারিনি। সোমবার সকালে আমদানি করা এই পেঁয়াজ বন্দরে ৭৫ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। পুরোপুরি আমদানি শুরু হলে দাম অনেক কমে আসবে।

জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাজারে দাম নিয়ে অস্থিরতা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দাম বেড়ে কেজিপ্রতি দাঁড়ায় ১৩০-১৫০ টাকায়। এই অবস্থায় সরকার দামের লাগাম টানতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে রোববার আমদানিকারকরা অনুমতি পেয়ে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন। এররফলে বাজারে কমতে থাকে সব ধরণের পেঁয়াজের দাম।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা (আর ও) এম আর জামান বাঁধন বলেন, ভারত থেকে প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ককর নির্ধারণ করা আছে। আমদানিকারকরা এই শুল্ক পরিশোধ করে পেঁয়াজ খালাস করে নিতে পারছেন। তাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ টাকা ১৯ পয়সা পড়ে।

তিনি আরও জানান, গত ৩০ নভেম্বর থেকে দেশে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে হিলিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অনেক কমে গেছে। এখন পুরোদমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে আবারও বন্দরটি গতি ফিরে পাবে।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ