প্রজন্ম ডেস্ক: কাজ করতে গেলেই ঘুম পায়। এমন সমস্যাতে থাকেন অনেকে। এমনকি ঘুমিয়ে পড়ের ট্রেনে ও বাসে। যা থেকে পড়তে পারেন বড় বিপদে। কিন্তু এর পেছনের কারণ কি জানেন? এমন ঘুম ঘুম ভাবের পিছনে রয়েছে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা। তাই চোখে ঘুম লেগে থাকার কয়েকটি কারণ জেনে নিন।

সঠিক ডায়েটের অভাব: শরীরের শক্তির প্রধান উৎস যেহেতু খাবার, তাই আপনার ডায়েট চার্টটি ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরী। কিন্তু খুব কম মানুষই আছেন যারা রুটিন মেনে খাবার খান।  বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন না কেউ কেউ। কর্মচঞ্চল থাকতে হলে আপনার অবশ্যই ব্যালেন্সড ডায়েট প্রয়োজন। তাহলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি থাকবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আমাদের বেশি পছন্দ তেল, ঝাল, লবণ ও মশলা যুক্ত ফাস্টফুড। এই সমস্যার সমাধানে সবার প্রথমে আপনার ডায়েট চার্টে  আনতে হবে ভিন্নতা। প্রতিদিনের রুটিনে রাখতে হবে আটার রুটি, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত ও ফাইবার যুক্ত খাবার। সেই সঙ্গে খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ডিম-দুধ  ও ফল

শারীরিক পরিশ্রমের অভাব: অনেকে মোটেই শারীরিক পরিশ্রম করতে চান না। তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেয়ারে হেলান দিয়ে কাজ করেন। আর বাড়ি ফিরে বসেন টিভির সামনে বা হারিয়ে যান ফোনের স্কিনে। এতে শরীরে এনার্জি কমে যায়। এমনকি চোখে লেগে থাকে ঘুমের রেশ। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করতে হবে ব্যায়াম । আর যদি শরীরচর্চায় অনীহা থাকে, তবে হাঁটুন। এই নিয়ম মেনে চললে এনার্জি লেভেল বাড়ে যাবে। থাকবে না বাড়তি ঘুম।

রাতে ঘুম না হওয়া: আপনার রাতে ঘুম না হলেই মুশকিল। কারণ রাতে পর্যাপ্ত  ঘুম না হলে পরদিন চোখে নিদ্রার রেশ থাকবেই। তাই রাতে ঘুম না হলে সবার আগে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল বা টিভি থেকে চোখ সরিয়ে নিন। প্রয়োজনে পড়তে পারেন আপনার পছন্দের বই।

দুশ্চিন্তা: এত কিছুর মদ্ধ্যে দুশ্চিন্তাই হল মূল কারণ।  অনেকেই সবসময় দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকেন। তাই তাঁদের শরীরে সর্বক্ষণ বের হতে থাকে স্ট্রেস হরমোন। ফলস্বরূপ সারাদিন ঘুম পায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে স্ট্রেস কমাতে হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে মাইন্ডফুলনেস এক্সারসাইজ।

প্রজন্মনিউজ২৪/ই মি