মানবজীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রকাশিত: ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৫:৪০:২২

মানবজীবনে রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রজন্ম অনলাইন: ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রমজান মাসের রোজা অন্যতম ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয় হিজরিতে কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা উম্মতের উপর রোজা ফরজ করেছেন।

রমজানের রোজা কেউ যদি অস্বীকার করলে- সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এছাড়াও শরিয়ত সমর্থিত ওজর(অপারগতা) ছাড়া ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গকারী- মৌলিক ফরজ লংঘনকারী ও ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারীরুপে গণ্য। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ওজর বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের একটি রোজা পরিত্যাগ করবে- সে যদি ওই রোজার পরিবর্তে আজীবন রোজা রাখে তবু ওই এক রোজার ক্ষতিপূরণ হবে না।’ 

রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...সুতরাং তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সসান সংখ্যা পূরণ করবে।’

রমজান মাস সারা বছরের মধ্যে শ্রেষ্ঠ

নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কসম! মুসলমানদের জন্য রমজানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমজান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনরা এ মাসে ইবাদকের শক্তি ও পাথেয় সংগওহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষক্রটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনিমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। 


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর; যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩) 

নবীজি (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাতের আগমন ঘটে, তখন দুষ্ট জিন ও শয়তানদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়, তার একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক ঘোষণা করতে থাকে- হে কল্যাণের প্রত্যাশী! অগ্রসর হও। হে অকল্যাণের প্রার্থী! থেমে যাও। আল্লাহ তাআলা এ মাসের প্রতি রাতে অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (তিরমিজি, হাদিস:৬৮২) 

রমজান বরকতময় মাস

আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, যখন রমজান মাসের আগমন ঘটল, তখন নবীজি (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের কাছে বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তাআলা তোমাদের ওপর এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন...।’রমজানের রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আবার রোজার বিনিময়ে অনেক বড় পুরস্কারেরও ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা বলেন-‘রোজা আমারই জন্য। আমি নিজে এর প্রতিদান দিব। আমার বান্দা আমার জন্য পানাহার ছেড়ে দেয়, কামনা বাসনা ছেড়ে দেয়। রোজাদারের জন্য দু’টি খুশি। একটি খুশি ইফতারের সময় এবং আরেকটি খুশি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়ে। রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধের চেয়েও উত্তম। 

আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে রমজানে বেশি থেকে বেশি নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 


প্রজন্মনিউজ২৪/এএন

এ সম্পর্কিত খবর

চরম গরমে ট্রাফিক পুলিশের মাথায় এসি লাগানো হেলমেট!

নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের গিুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ব্যাপক বৃষ্টি, ২২ জনের মৃত্যু

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের ২ সন্ত্রাসী নিহত

আসতে পারে বিশ্বজুড়ে বোয়িং ড্রিমলাইনার না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত 

ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় ২ বিএনপি নেতা বহিষ্কার

বৃষ্টির জন্য বশেমুরবিপ্রবিতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

খুবির আইকিউএসি পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সিনিয়র ফেলো স্ট্যাটাস অর্জন

নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অজ্ঞান হয়ে পড়ল মাদরাসাছাত্রী

হঠাৎ সবুজ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ, কারণ কী?

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ