ক্যাম্পাসে ধীরগতির ইন্টারনেট, ভোগান্তিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০২:১৮:০৭

ক্যাম্পাসে ধীরগতির ইন্টারনেট, ভোগান্তিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এসেছে বহুমাত্রিক পরিবর্তন। প্রতি মুহূর্তে মানুষ আজ প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট বদলে দিয়েছে একুশ শতকের হালচাল। তবে সে ক্ষেত্রে যেন ব্যতিক্রম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। পুরো ক্যাম্পাস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হলেও ধীরগতির কারণে কোনো সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। বারবার সংযোগ বিচ্যুতি ও ধীরগতির জন্য এ সেবা শিক্ষার্থীদের কাছে এখন বিরক্তির কারণ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের কম্পিউটার ল্যাবে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও ধীরগতির কারণে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সুবিধা না পাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

তবে পর্যাপ্ত সেবা না পেলেও প্রতি সেমিস্টারে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সেবা বাবদ শিক্ষাথীদের গুনতে হচ্ছে ২০০ টাকা, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে জরুরী কাজে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়। ব্যবহারের সময় বারবার ওয়াইফাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রশাসনিক ভবনে কিছুটা পাওয়া গেলেও পাওয়া যায় না একাডেমিক ভবনে। এছাড়াও শিক্ষক সংকটের কারনে অনেক বিভাগে গেস্ট শিক্ষকগণ  অনলাইনে ক্লাস করিয়ে থাকেন কিন্তু ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমেও ভোগান্তিতে পড়ছে হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীরা। 

ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আমিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই সংযোগ থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাঝে মাঝে সংযোগ পাওয়া গেলেও ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় না। জরুরী প্রয়োজনে মোবাইল ডাটা কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে নির্দিষ্ট ফি দেওয়ার পরেও এমন অবস্থা একেবারেই গ্রহনযোগ্য নয়।' 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যে সকল অবকাঠামোগত সুবিধা থাকা দরকার তার মধ্যে ইন্টারনেট পরিসেবা অন্যতম। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা  নিতান্তই অপ্রতুল। একটি ইমেইল চেক করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। একাডেমিক প্রয়োজনে তথা রেজাল্ট তৈরি সংক্রান্ত কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট পরিসেবা অত্যন্ত জরুরী। ইন্টারনেট সংযুক্তির ধীর গতির ফলে এ সকল একাডেমিক কাজকর্ম ঠিকভাবে করা যায় না। একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারনেট সংযুক্তির এই দুরবস্থা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। একাডেমিক ভবনের পরিধি বৃদ্ধি পেলেও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বৃদ্ধি পায়নি, ফলে পূর্বের সংযুক্তি চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস দিতে পারবে না এটাই স্বাভাবিক।’

প্রতি সেমিষ্টারে নেটওয়ার্ক ফি নেওয়ার পরও ইন্টারনেটের ধীরগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আইসিটি সেলের সিনিয়র নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান রিপন বৈরাগী বলেন, ‘বিডিএম এর সাথে ২০১৫ সালে ৪০০ এম বি পি এস এর চুক্তি হয় কিন্তু বর্তমানে ভবনের সংখ্যা ও শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি এই সমস্যার মূল কারণ।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়েছি এবং চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী বছর থেকে ৭৫০ এমবিপিএস চালু হবে।’


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

এ সম্পর্কিত খবর

শনিবার মাধ্যমিক, রবিবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ

জয় বাংলা ব্লাড স্কিমের আড়ালে সিট দখলের অভিনব কৌশল রাবি ছাত্রলীগের

১০ বছর পর সমাবর্তন করতে যাচ্ছে গণবিশ্ববিদ্যালয়

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়

জবি শিক্ষককে হেনস্থা, সতর্ক করেই দায় সেরেছে প্রশাসন

যুক্তরাষ্ট্রে ৯ শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

খুলনায় প্রিপেইড মিটারের বিদ্যুৎ কিনতে গ্রাহকদের সীমাহীন ভোগান্তি

তীব্র গরমে কোমল পানীয় বিতরণ করছে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ

সমন্বয় করে গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি চান ববি শিক্ষার্থীরা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ