দ্যা বিউটি অব ডিইউ ক্যাম্পাস: যুগ পেরিয়ে যুগান্তরে

প্রকাশিত: ৩০ অগাস্ট, ২০২৩ ০৬:১৯:৩৯ || পরিবর্তিত: ৩০ অগাস্ট, ২০২৩ ০৬:১৯:৩৯

দ্যা বিউটি অব ডিইউ ক্যাম্পাস: যুগ পেরিয়ে যুগান্তরে

আসাদুজ্জামান খান, ঢাবি প্রতিনিধি: ধরুন, কোনো এক বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিস শেষ করে বাসায় যাচ্ছেন কিংবা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের কোন এক দেশে বসে ফেসবুকে নিউজফিড স্ক্রল করছেন। হুট করে আপনার চোখ আটকে গেল আপনার জীবনের অন্যতম সুন্দর সময় কাটিয়ে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি ছবিতে। হয়তো একদল তরুণ-তরুণী সময় কাটাচ্ছে টিএসসির প্রাঙ্গণে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সাফল্য বা ব্যর্থতার বিশেষ খবরে। মুহূর্তেই আপনার মনে পড়ে গেল আপনার কাটিয়ে আসা সেই চার-পাঁচটি বছরের স্মৃতি, বন্ধুদের কথা, ভালোবাসার কথা, প্রাপ্তির কথা কিংবা না পাওয়ার ব্যথা।

দীর্ঘ এক যুগ ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন জীবনের নানান চিত্র, অনুভূতি, সাফল্য, কিংবা প্রয়োজনীয় তথ্য ইত্যাদি প্রকাশ করে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে যে পেইজটি, তা হলো 'দ্যা বিউটি অফ ডিইউ ক্যাম্পাস'।

২০১১ সালে শখের বশে খোলা এই পেইজটি আজ ১৩তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই একযুগের ও বেশি সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন ছবি, ফিচার, লেখা কিংবা জরুরি রক্তের প্রয়োজনে পেইজের ইনবক্সে মেসেজ দিয়েছেন লাখো মানুষ। বিনোদন এর পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অসুস্থ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনে আর্থিক সহযোগিতায় ফান্ড কালেকশন সহ নানা ধরনের সেবাধর্মী কাজও করেছে এই পেইজটি।

প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষাধিক ফেসবুক ফলোয়ার এই পেইজ থেকে পেয়েছেন একটু শান্তি এবং আনন্দ। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, স্কুল, কলেজ কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও প্রতিনিয়ত এই পেইজের মাধ্যমে মুগ্ধ হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান রূপে, স্বপ্ন দেখেছেন শিক্ষার্থী হিসেবে এখানে পড়বার।

পেইজ সম্পর্কে জাহিদুল হক নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, "আমি কলেজের প্রথম বর্ষ থেকেই এই পেইজটি ফলো করে আসছি এবং এই পেইজটি আমাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছিল। আমার ঢাবিয়ান হওয়ার পিছনে এই ফেসবুক পেইজটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।"

অন্তরা পাল নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার ভালো লাগা কমেন্ট বক্সে প্রকাশ করেছেন এভাবে, "এডমিশনের সময় ঢাবিতে পড়ার স্বপ্নটা দৃঢ় হয়েছিলো এই পেইজের পোস্টগুলো দেখেই। অনেক অনেক শুভকামনা।"

মুহাম্মদ সাইফুল লিখেছেন, "আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের না হলেও এ পেইজকে অনেক ভালোবাসি। এ পেইজের লেখা, পোস্ট, বিভিন্ন আর্টিক্যাল খুব ভালো লাগে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আমার পছন্দের পেইজের জন্য। "

এরকম নানান মন্তব্যে আপনাদের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। পর্দার আড়াল থেকে যে মানুষগুলো নিজেদের ব্যস্ততার মাঝেও নিতান্তই শখ এবং আবেগ থেকে কাজ করে যাচ্ছেন এই পেইজটিতে তারা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের এই ভালোবাসা, মন্তব্য ও গঠনমূলক সমালোচনাই আমাদের প্রাপ্তি।

এক যুগ ধরে মুগ্ধতা ছড়ানো 'দ্য বিউটি অফ ডিউ ক্যাম্পাস' টিকে থাকুক ততদিন,যতদিন আছে এই প্রাণের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আরো শত শত শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক, হয়ে থাকুক কোনো এক নির্জন দুপুরে ফেলে আসা স্মৃতিবহুল পুরনো সু-দিনের সঙ্গী হিসেবে।

জয়তু 'দ্য বিউটি অফ ডিইউ ক্যাম্পাস' জয়তু 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'


প্রজন্মনিউজ/এনএ

এ সম্পর্কিত খবর

তাপপ্রবাহে করনীয় সম্পর্কে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলি

স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ

শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুলে ফেসবুকে পোস্ট: মন্ত্রণালয়  

ফিরে দেখা সেই ৫ মে রাতে শাপলা চত্বরে ঘিরে কী ঘটেছিল

বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইনি জটিলতা,আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

চবিতে বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি রুপক, সম্পাদক রবিউল

আবারও মিয়ানমারের ৮৮ সীমান্তরক্ষীর বাংলাদেশে প্রবেশ

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ