বাজার ঘুরেও মিলছে না চিনির দেখা

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২২ ০৪:৪১:০২

বাজার ঘুরেও মিলছে না চিনির দেখা

বাজার ঘুরেও অনেক সময় ভোক্তারা পাচ্ছেন না চিনির দেখা। যদিও পায় তাহলে দাম আকাশচুম্বী। গেল এক মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে পণ্যটির মূল্য। বছর শেষে যা দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশে। 

চিনি শিল্প বেসরকারিখাতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি, দাবি কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের। যদিও উৎপাদন বাড়ানোর আশ্বাস শিল্প করপোরেশনের। সবকিছুর লাগামহীন দামে যখন নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস, তখন কষ্ট আরো বাড়িয়েছে, গেল এক মাসের চিনির সংকট।

বাজার থেকে যেন একরকম উধাও এই নিত্যপণ্য। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে অল্প কয়েকটি দোকানে চিনি মিললেও দাম চড়া। ফলে প্রভাব পড়েছে মিষ্টিজাত পণ্যের দামেও।
এক্ষেত্রে এক ক্রেতা জানান, কোনো দোকানই খোলা চিনি বিক্রি করছে না। প্যাকেট চিনি চাইলেও পাচ্ছি না।

এদিকে এক মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, চিনির দাম বাড়ায় মিষ্টির দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে বাড়াতে হয়েছে।

টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছর শেষে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। আর এ পরিস্থিতির জন্য খুচরা বিক্রেতারা দায়ী করছেন কম সরবরাহকে।

এ বিষয়ে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, 'ডিলারের কাছ থেকে আমরা চিনি পাচ্ছি না। তাই ক্রেতারা এলে আমরা বলি চিনি নাই।

তবে ডিলাররা দুষছেন মিল মালিকদের। বলছেন, গ্যাস সংকট, ডলার ও পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে, আমদানি নির্ভর এই পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন মিল মালিকেরা।

মিল মালিকদের একজন বলেন, জ্বালানি সংকট থাকায় চাহিদার আলোকে রিফাইনিং হচ্ছে না।

দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে বাজার ও মিলগুলোতে। তবে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, বর্তমানে চিনি শিল্প বেসরকারি খাতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার।

আরও পড়ুন: ‘কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না, আমানত নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই’ 

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যদি ব্যাবসায়ীরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় না দেন, তাহলে সরকারকে সরাসরি চিনি আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল করতে হবে।
চলমান পরিস্থিতিতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে চিনির দেশীয় উৎপাদন আরো বাড়ানোর আশ্বাস শিল্প করপোরেশনের।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপু বলেন, আমরা প্রোডাকশন বাড়ানোর চেষ্টা করছি, যাতে অন্তত ১০ ভাগ মার্কেট শেয়ার আমরা নিতে পারি। আশা করি, ৫ বছরের মধ্যে আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারব।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যাফিক কমিশনের তথ্যমতে, দেশে পরিশোধিত চিনির চাহিদা বছরে প্রায় ১৮ লাখ টন। যার প্রায় ৯৮ শতাংশই আমদানি করতে হয়।

প্রজন্মনিউজ24/সাঈদ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ