জেনারেল মইনকে চাকরির নিশ্চয়তা দেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি

প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৪:৩৫:৪৯ || পরিবর্তিত: ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০৪:৩৫:৪৯

জেনারেল মইনকে চাকরির নিশ্চয়তা দেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি

প্রজন্ম ডেস্ক:

সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখ ৬ দিনের সফরে ভারত গমন করেন ও প্রণব মুখার্জির সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

উক্ত সাক্ষাতে হাসিনাকে আটকাবস্থা থেকে মুক্তি দিলে জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ তার চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি (The Coalition Years 1996-2012 by Pranab Mukherjee) জেনারেল মইন ইউ আহমেদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত এর আগে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি ও ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী।

পিলখানায় সংঘটিত বর্বর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় ১১ মাস তদন্ত শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়—তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজ উদ্দিন আহমেদ ১৫ জুন ২০০৮ তারিখ জেনারেল মঈন ইউ আহমেদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণ করে।

এদিকে ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস ১৯৯৬-২০১২’ বইতে প্রণব মুখার্জি লেখেন—কোন অবস্থায় জেনারেল মইনকে দিল্লিতে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তিনি কী ভূমিকা রেখেছিলেন। কোন পরিস্থিতিতে যোগাযোগ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সারা বিশ্বে কীভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন ও দুই নেত্রীর মুক্তির জন্য কাজ করেছিলেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি একটা শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দিকে জোর দিয়েছিলাম।’

তিনি আরো লেখেন—২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ ছয় দিনের ভারত সফরে যান । এ সময় প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জেনারেল মইন। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা প্রসঙ্গে প্রণব মুখার্জি লেখেন—‘তাকে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির গুরুত্ব বোঝাই। তিনি এই ভয় পাচ্ছিলেন যে, শেখ হাসিনা বের হয়ে আসার পর তাকে চাকরিচ্যুত করতে পারেন। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব নিই এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেও তার বহাল থাকার ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করি।’

প্রসঙ্গত, নবম জাতীয় সংসদ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়। ৩০০টি আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসনে জয়লাভ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সরকার গঠন করে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৩০টি আসনে জয়লাভ করে বিরোধীদলের মর্যাদা পায় যাতে খালেদা জিয়া সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।


প্রজন্ম নিউস২৪

এ সম্পর্কিত খবর

ট্রাম্পের চাপ উপেক্ষা করে ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্ন’ জ্বালানি দেবে রাশিয়া

বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর

হাসিনা প্রশ্নে যা বললেন জয়শঙ্কর

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির ৭৫ নেতাকর্মী

কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান সরকার

শেখ হাসিনা কখনোই বাংলাদেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেননি: সালাহউদ্দিন আহমদ

জেনারেল মইনকে চাকরির নিশ্চয়তা দেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে লন্ডনে যাওয়া

কোনো মানুষ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করবে না: সালাহউদ্দিন

তফসিল ও নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ