ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তেঁতুলিয়া সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত: ০৮ মে, ২০২৪ ০৬:২৩:২৭

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে তেঁতুলিয়া সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘটনায় 'এইচআরএসএস' এর তীব্র নিন্দা ও সুষ্ঠু বিচারের আহবানবাংলাদেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার পর তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার ৪৪৬ নম্বর মেইন পিলারের ১৪ (আর) এলাকায় ভারতীয় সীমাস্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে দুই বাংলাদেশী যুবক আবদুল জলিল ও ইয়াসীন আলীর মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভারতের ফকিরপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা নিহত দুজনের লাশ নিয়ে যায়। নিহত দুজন হলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়া এলাকার জুনু মিয়ার ছেলে আবদুল জলিল (২৪) ও একই উপজেলার
তিরনইহাট ইউনিয়নের ব্রহ্মতল এলাকার কেতাব আলির ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারী থেকে ৮ই মে পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক মোট ২৭৭ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ২৬১ জন আহত হয়েছেন। ভারতের বারবার প্রতিশ্রুতি এবং চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্বেও, এই দুঃখজনক ঘটনাগুলি উদ্বেগজনক হারে বছরের পর বছর ধরে ঘটছে। সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক শুধুমাত্র ২০২৩ সালে ৩০ জন বাংলাদেশি নিহত এবং আরও ৩১ জন আহত হন, যা সীমান্তের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি নাজুক পরি¯নি’তি নির্দেশ করে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং উভয় সরকারই সীমান্তে বেসামরিক জীবন রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে হত্যাকান্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলেও এ ধরণের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। আমরা উভয় দেশের কর্তৃপক্ষকে এই সংকটের সমাধানের লক্ষ্যে গঠনমূলক সংলাপ এবং সীমান্তের হত্যাকান্ডের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে শূন্যে নিয়ে আসার বিষয়ে আহ্বান জানাই।

হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বাংলাদেশ ও ভারত সরকারকে দুই বাংলাদেশী যুবক আবদুল জলিল ও ইয়াসীন আলীর হত্যাকান্ডের ঘটনাসহ পূর্ববর্তী সকল সীমান্ত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত করে জড়িতদেরকে শাস্তির আওতায় আনার আহবান জানা”েছ। সীমান্ত এলাকায়, সমস্ত সীমান্তব্যব¯’াপনা কার্যক্রমে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলিকে সমুন্নত রাখতে দুই দেশের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আমরা আশা করি যে দুই বাংলাদেশী যুবক আবদুল জলিল ও ইয়াসীন আলীর মর্মান্তিক মৃত্যু বাংলাদেশের সীমান্তে দীর্ঘ¯’ায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা অর্জনের লক্ষ্যে অর্থবহ সংলাপ ও পদক্ষেপের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএম
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ