মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২৪ ০২:১৯:০৬

মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামক আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের পর নতুন করে চারদিনের রিমান্ডে আছেন। ওই আশ্রমে আশ্রিত শিশু, অসহায় বৃদ্ধ, ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। এর কর্ণধার আমাদের কাছে গতকাল এসেছিলেন। তিনি ওই আশ্রমে রেখেই আশ্রিতদের সেবা দেবেন।

৬ মে দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে ডিবি প্রধান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমে বর্তমানে ৪৫ জন শিশু আছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। শুনানির একপর্যায়ে তিনি বলেন, আশ্রমে বর্তমানে ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন তাদের নিয়ে যেতে।

আদালতে মিল্টন সমাদ্দারের আর্জির ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা মিল্টন সমাদ্দারকে নতুন মামলায় চারদিনের রিমান্ডে নিয়েছি। তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে মানুষদের প্রতারিত করে বৃদ্ধ, অনাথ, মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন মানুষকে দেখিয়ে তিনি যে টাকা কামাচ্ছিলেন তা তার অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছিল। তিনি কিন্তু এসব টাকা ওই আশ্রিত মানুষের পেছনে খরচ করছিলেন না, চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে আরও অনেক লোমহর্ষক তথ্য আমরা পেয়েছি। তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষ না করে কিছু বলা ঠিক হবে না।

হারুন বলেন, আমরা একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পেয়েছি। তিনি গতকাল আমাদের এখানে এসেছিলেন। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি। প্রতিষ্ঠানের নাম আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামক আশ্রমের পুরো দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। সব খরচ তিনি বহন করবেন।  পরে অন্য চিন্তাভাবনা করবো। মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ চার দিনের রিমান্ডে থাকা মিল্টন সমাদ্দার জিজ্ঞাসাবাদে নতুন করে কী তথ্য পেলেন জানতে চাইলে হারুন বলেন, যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাই বাছাই চলছে। সব অভিযোগেরই তদন্ত হবে। কোনোক্রমেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।

মিল্টন সমাদ্দারকে মাদকসেবী বলছেন। মাদকসেবনের ব্যাপারে কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন? জানতে চাইলে হারুন বলেন, তিনি যে মাদক সেবন করেন, ইয়াবা খান সেটি তো তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার আশ্রমে যারা মারা গেছেন, তাদের ডেথ সার্টিফিকেট নিজেই দিতেন, ডাক্তারের সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করতেন। তাদের যে কোথায় কবর দেওয়া হলো! সে তথ্য কিন্তু তিনি আস্তে আস্তে স্বীকার করা শুরু করেছেন। তদন্ত শেষ হলে এব্যাপারে জানানো হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা 

এ সম্পর্কিত খবর

নোংরা পরিবেশে তৈরী হচ্ছিল ব্লু: বিএসটিআই এর জরিমানা

এখনই র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র

খুলনার ৩ উপজেলার ৬৯ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

শিক্ষার মানোন্নয়নে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এসিজি’র অধিপরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

এবার ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা চালু

সিংড়ায় পদক্ষেপ এনজিও’র অফিস উদ্বোধন

শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ঘুম থেকে তুলে বিছানাপত্র নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ

লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

ডোনাল্ড লু ঘুরে যাওয়ার পর বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ