দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:২০:৩৬

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে কাতারের আমির ঢাকায়

অনলাইন ডেস্ক: কাতারের বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আজ (সোমবার) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন। এর মাধ্যমে প্রায় দুই দশক পর দেশটির কোনও আমির বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন।

এছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটিই মধ্যপ্রাচ্যের কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

সব মিলিয়ে কাতারের আমিরের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু এই সফর থেকে বাংলাদেশ ঠিক কী অর্জন করার প্রত্যাশা করছে?

“আমাদের দেশে এনার্জির মজুদ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে এবং এনার্জি সিকিওরিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে”, রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি শ্রমবাজার। জ্বালানি আমদানি, বিশেষ করে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ কাতারের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।

তাছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও কাতার দিন দিন 'গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়' হয়ে উঠছে। ফলে বাংলাদেশ তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াতে চাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

“শ্রমবাজার, জ্বালানি নির্ভরতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বর্তমানে কাতারের যে অবস্থান, সব মিলিয়ে দেশটির আমিরের এই সফর নি:সন্দেহে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ”, বলেন বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিক। 

এর আগে ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি শেষবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

প্রায় দুই দশক পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন।

সোমবার বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে কাতারের আমির ঢাকা পৌঁছাবেন বলে জানা গেছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এই সফর চলাকালে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে অন্তত ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানান তিনি।

চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে : দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।


প্রজন্মনিউজ২৪/এএন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ