ছয়শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাতরাইল মসজিদ

প্রকাশিত: ১২ মার্চ, ২০২৪ ১২:২৪:০৫

ছয়শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাতরাইল মসজিদ


শেখ প্রতিনিধি:ছয়শত বছরের প্রাচীন ঐতিহাসিক পাতরাইল মসজিদ।আবার কেউ কেউ বলেন ৭শ বছরের পুরনো।কেউ বলে গায়েবী মসজিদ আবার কেউ বলে দিঘীরপাড় মজলিশ আউলিয়া মসজিদ।

পাতরাইল মসজিদ বা মজলিশ আউলিয়া মসজিদ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার অন্তর্গত আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামে অবস্থিত।মসজিদটি দীঘিরপাড় আউলিয়া মসজিদ নামেও সুপরিচিত।মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন আছে।ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন মসজিদটি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ ১৩৯৩ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৪১০ খ্রিষ্টাব্দ এর মধ্যে নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারনা করা হয়।এই ঐতিহাসিক মসজিদের দক্ষিণ পাশে চির নিন্দ্রায় শায়িত আছেন মজলিস আউলিয়া খান।জনশ্রুতি আছে যে,অত্র এলাকায় প্রজাদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনকল্পে ও ইবাদতের জন্য মসজিদের পার্শ্বেই ৩২.১৫ একর জমির উপর একটি দীঘি খনন করেন।

প্রতিদিনই মসজিদটি দেখতে দুরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে এখানে নারী পুরুষ সকলেই আসেন।পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় ঢাকা সহজে আসা যায়। তাই মসজিদটিকে ঘিরে স্থানীয় প্রশাসন কোনও বিশেষ উদ্যোগ নিলে ফরিদপুরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রসার ঘটবে ।

সরেজমিনে দেখা যায়,পাতরাইল ঐতিহাসিক এ মসজিদটি ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮৪ ফুট,প্রস্থ ৪২ ফুট। মসজিদের চার কোণে রয়েছে ৪ টি মিনার।মসজিদের দেয়াল ৭ ফুট প্রশস্ত।মসজিদের ভিতরে ৪ টি স্তম্ভ বা থাম আছে। পূর্ব দিকে ৫টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ২টি করে মোট ৯টি দরজা আছে।এ ছাড়াও কিবলা প্রাচীরের পাঁচটি অবতলাকৃতি মিহরাব রয়েছে যা পূর্ব দিকের খিলান পথ বরাবর।মিররাবগুলো কুইঞ্চের সাহায্যে নির্মিত।উত্তর ও দক্ষিণ দিকে কৌনিক খিলানপথ রয়েছে।ছাদে সর্ব মোট দশটি গম্বুজ থাকায় ধারণা করা হয় এটি সুলতানী আমলের আয়তাকার দশগম্বুজ টাইপের অন্তর্গত একটি মসজিদ মসজিদের গায়ে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটার কারুকাজ,নানারকম শৈল্পীক কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মসজিদে।

মসজিদটি বর্তমানে প্রত্মতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন আছে।যেহেতু মসজিদটি ঢাকা হতে দক্ষিণ বঙ্গের হাইওয়ের রাস্তা সংলগ্ন,সেহেতু মসজিদটিসহ উক্ত দীঘিটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে উন্নয়ন করলে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা আছে।প্রতিদিন শতাধিক মানুষের পদচারণায় দীঘির চারপাশসহ মসজিদ প্রাঙ্গণটি মুখর হয়ে ওঠে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নান্দনিক নির্মাণশৈলীর এই মসজিদটিকে ঘিরে একটি লাভজনক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ