হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শুরু হয়েছে প্রথম আলো বন্ধুসভা আয়োজিত “অমর একুশে বইমেলা-২০২৪”।

আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় হাবিপ্রবির শহিদ মিনারের সম্মুখে ফিতা কেটে উক্ত বইমেলার উদ্বোধন করেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ সাদেকুর রহমান, প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ আরিফুজ্জামানসহ অন্যান্য উপদেষ্টাবৃন্দ।

এ সময় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, ১৯৪৮ সালে ১১ মার্চ ভাষার জন্য ছাত্রনেতারা সর্বপ্রথম অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে যে আন্দোলন শুরু করেন, সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মিলে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারির সেই মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন রফিক, শফিক, বরকত, সালাম, জব্বারসহ আরও অনেকে। মাতৃভাষার দাবিতে আত্মদানের এক অভূতপূর্ব অধ্যায় সেদিন সংযোজিত হয়েছিল মানব ইতিহাসে।

তিনি বলেন, বই হচ্ছে মানুষের হৃদয়ের বন্ধু, জীবনের ভাল ও মন্দ দুটো দিক রয়েছে, সেই ভাল ও মন্দ দুটো দিক কে চিহ্নিত করে সেখান থেকে অভিযোজন করার ক্ষমতা অর্জিত হয় বই পড়ার মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি বই পড়ার মধ্য দিয়ে আমাদের চিন্তা চেতনার বিকাশ হয়, মনের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা প্রচুর সময় ব্যয় করি, এটির যে প্রয়োজনীয়তা নেই এমন নয়, কিন্তু বই পড়ার অভ্যাস করলে আমাদের জ্ঞানের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে। বই অবশ্যই জ্ঞানের সঞ্চার করে, বই মানুষকে আলোকিত করে। পরিশেষে ভাষার মাসে এ ধরণের আয়োজনের জন্য তিনি প্রথম আলো বন্ধুসভা ও স্টল প্রদানকারীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য শেষে বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।

উল্লেখ্য, আগামি ১ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত উক্ত বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি