উচ্চশিক্ষায় ভোগান্তির আরেক নাম জার্মানি,নিরুৎসাহিত হচ্ছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:১১:৪০ || পরিবর্তিত: ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:১১:৪০

উচ্চশিক্ষায় ভোগান্তির আরেক নাম জার্মানি,নিরুৎসাহিত হচ্ছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা

উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানি এখন বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ৩য় বিশ্বের অনেক দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো টিউশন ফি মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্হা।

জার্মান সরকারের এমন শিক্ষানীতির জন্য আজকাল সুদূর আমেরিকার শিক্ষার্থীরাও পাড়ি জমাচ্ছে জার্মানিতে। আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভারতের ছাত্র-ছাত্রীদের আগমন সবার শীর্ষে।

বাংলাদেশ থেকে গড়ে প্রতিবছর ১০০০ - ১৫০০ শিক্ষার্থী জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্যে আবেদন করে। এক্ষেত্রে এ সংখ্যাটা পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় কম হওয়ার কারণ হলো ব্লক একাউন্টের একটা বিশাল অঙ্কের টাকা। যার বর্তমান পরিমান ১০,৫২১ ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ লাখ টাকা। যেটা আবার এক বছরের মধ্যে ফিরে পাওয়া যায়।

মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে যেটা অনেক ক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য। এক্ষেত্রে ভারতের শিক্ষার্থীরা ব্যাংকের নিকট ধরণা দিলে ব্যাংকগুলো সহজ শর্তে ১ বছরের জন্য অর্থসহায়তা দেয়। যার জন্য ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ঢল বইছে জার্মানি অভিমুখে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা জটিলতা পোহানো লাগলেও সমস্যা হচ্ছে না ভারত, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের।

বাংলাদেশ থেকে ২০২০ সেশনে যারা আবেদন করেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ৮-১০ মাস যাবত অপেক্ষার পরও এখনো মিলছেনা ভিসার এপয়েন্টমেন্ট। তারমধ্যে আবার জার্মানিতে চলছে করোনার ২য় তরঙ্গ এবং লকডাউন।

এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করছে কিন্তু প্রতিনিয়ত নানাবিধ চ্যালেঞ্জ তাদেরকে হতাশায় নিমজ্জিত করে চলেছে। তাছাড়া জার্মান এম্বাসি ঢাকা কর্তৃক বিভিন্ন বিধি আরোপের জন্য অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এক শিক্ষার্থী সঙ্গে কথোপকথনে জানা গেল তিনি ৫ জুলাই ২০২০ তারিখে ভিসা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। তিনি অনলাইনে ক্লাসও করছেন নিয়মিত। তার সেমিষ্টার পরীক্ষা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু এমতাবস্থায় এম্বাসিতে মেইল করেও সম্ভাব্য কোন সময়ের কথা তিনি জানতে পারেননি। এখন আবার এম্বাসি হঠাৎ ১ সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়ে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে বলে।

মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে অনেকেই বাসা ভাড়ার চুক্তি ও ব্লক একাউন্টের টাকা জোগাড় করতে না পারায় তাদের ভিসার এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের আবার নতুন করে ভিসা এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। যার জন্য কমপক্ষে আরো ১ বছর সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে আবার অনেকে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/রায়হান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ