জুমার দিনে সূরায় কাহফ

প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৪ ১১:৪২:২০

জুমার দিনে সূরায় কাহফ

প্রজন্ম ডেস্ক: জুমার দিনে ‘সূরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সূরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সূরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে, তবে সে যেন এ সূরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

ফজিলত: যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর  জুমা পর্যন্ত নূর হবে।

>  যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, সে আটদিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে।

>  এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত তার সব কবিরা গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।

> জুমার দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরূদ পড়ে তবে তার জন্য ১০টি রহমত নাজিল হয়।

> আর যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরূদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। আর এই দরূদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দরূদ হচ্ছে ‘দরূদে ইবরাহিম’, যা নামাজে পড়া হয়।

> জুমার দিন দোয়া কবুলের কিছু সময় বা মুহূর্ত রয়েছে, সে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতেগফার করা।

বিশেষ করে জুমার দিন ও জুমার নামাজ আদায় মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। এ দিনের প্রতিটি আমলই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই প্রিয় নবী (সা.) জুমার নামাজ পরিত্যাগ করার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অলসতাবশত তিনটি জুমা ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তায়ালা তার হৃদয়ে মোহর মেরে দেন। ’ (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুয়াত্তা মালেক)

অতএব অল্পে তুষ্টিতে সফল হতে হলে প্রয়োজন আল্লাহ তায়ালার প্রতি দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস, পরকালীন জীবনকে প্রাধান্য দেওয়া। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে অল্পে তুষ্টির গুণ ও পরকালের পাথেয় অর্জন করার তওফিক দান করুন। আমিন।


প্রজন্মনিউজ২৪/ ই মি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ