কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গিন সাজে সেজেছে বশেমুরবিপ্রবি

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৪ ০৪:২০:৫৫

কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গিন সাজে সেজেছে বশেমুরবিপ্রবি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে দিকে উঁকি দেয় আগুনঝরা রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া। নজরকাড়া ফুলের রঙিন সাজে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস। প্রকৃতির এমন উপহার যেন শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে এনে দেয় স্বস্তির ছাপ। ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের সময়কে রাঙ্গিয়ে দিয়ে স্মৃতির পাতায় মধু মেশাতেই হয়তো প্রকৃতির এ আয়োজন। 

প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের মন পরিষ্কার রাখতে এপ্রিল মে মাস আসলেই শুরু হয় এদের আনাগোনা। ২-৩ মাস ধরে যখন হয়তো কঠিন বৃষ্টি অথবা প্রখর রোদ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে বাধা দেয় ঠিক তখনই কৃষ্ণচূড়ার রঙিন সাজ রোদ বৃষ্টি ডেঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে উৎসাহিত করে। কেবল ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা-কর্মচারি-কর্মকর্তারাই নন, নজরকাড়া এই ফুলের  সৌরভ মুগ্ধ দূরদূরান্ত থেকে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরাও। টুঙ্গিপাড়া ইনস্টিটিউট অভ হেলথ টেকনোলজি থেকে ঘুরতে আসে আট-নয়জন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু শিক্ষার্থী। এদেরই মধ্যে একজন রাসেদ। রক্তিম-রঙিন সৌরভের সুবাসিত হয়ে বলে উঠে, এই ফুল যে পরিবেশের সৌন্দর্য এভাবে বৃদ্ধি করতে পারে আগে জানতাম না। কিছুদিন আগেই একবার এখানে এসেছিলাম। এখন এসে মনে হচ্ছে যেন ভিন্ন এক রাজ্যে আসলাম। এই তুখড় রোদের তাপ যেন ফুলগুলোর দিকে তাকালে ভূলেই যাই‌।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলো থেকে শুরু করে বিভিন্ন চত্বর ও ভবনগুলোর সামনে শোভা পেয়েছে বাহারি ফুল। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন জয় বাংলা চত্বর, ক্যালিফোর্নিয়া রোড, শেখ রেহানা হল গেট, উপাচার্যের বাসভবনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ এখন মৌসুমি ফুলে ফুলেলময়। গ্রীষ্মের রুক্ষতা ছাপিয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল নিজের সৌন্দর্য তুলে ধরছে। গাছের ডালপালা জুড়ে শুধুই কৃষ্ণচূড়া ফুলের সমারোহ। এই ফুলের অপরুপ দৃশ্য যে কারও চোখে ও মনে এনে দিতে পারে শিল্পের দ্যোতনা। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম তার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, গ্রীষ্মকালের অনেক ফুলের মধ্যে চিরল চিরল সবুজ পাতার ঝাঁকড়া গাছে ফোটা রক্তবর্ন ফুল, নাম তার কৃষ্ণচুড়া। কেউ কেউ কৃষ্ণচুড়াকে রক্তচুড়া বলে থাকে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন অনিদ্য সুন্দর আগুনঝড়া ফুলের গাছের নিচে প্রচন্ড গরমে অনেকেই আধাভেজা শরীরের বিশ্রাম নিচ্ছে। প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে কৃষ্ণচুড়া গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নেবার পর ক্লান্তিমুক্ত হচ্ছে অনেকেই।

বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল হাকিম রুমন তার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, গ্রীষ্মের এই নিস্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে কৃষ্ণচূড়া নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি। এছাড়াও গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন অনিদ্য সুন্দর আগুনঝড়া ফুলের গাছের নিচে প্রচন্ড গরমে অনেকেই আধাভেজা শরীরের বিশ্রাম নিচ্ছে।

ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মমিনুর রহমান বলেন, কৃষ্ণচূড়া সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা থেকেও আমাদের রক্ষা করে। বর্তমানে বৃক্ষনিধনের শিকার হয়ে কমে যাচ্ছে রঙিন এই গাছ।
আমাদের উচিত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমানোর জন্য কৃষ্ণচূড়া গাছ বেশি করে   লাগানো।


প্রজন্মনিউজ২৪/এফএইচ

এ সম্পর্কিত খবর

“বঙ্গবন্ধু শান্তিু পুরষ্কার” নামে আর্ন্তজাতিক শান্তি পুরষ্কারের ঘোষণা সরকারের

রাজশাহীতে ৩০ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৬৫ দিন

নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষনা করেছে ইরান

টেকনাফ বাহারছড়ায় ডাকাতিসহ আট মামলার অভিযুক্ত পালাতক আসামি গ্রেফতার।

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্য উদ্বেগে বেড়েছে তেলের দাম

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান

মোখবারকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিলেন খামেনি

আজ থেকে ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ

তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ