বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেয়ে অভিমানে নিলেন অবসর

প্রকাশিত: ১০ মে, ২০২৪ ১১:৩৬:৪৭

বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেয়ে অভিমানে নিলেন অবসর

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার খেলেছিলেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরের চার বছরে জাতীয় দলে ডাক না পেলেও বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে জানান দেন নিজের অস্তিত্ব। বয়স মধ্য ত্রিশ পেরোলেও আশায় ছিলেন, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে আলোচনাতেও ছিলেন তিনি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ঘোষিত ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে নিজের নাম না দেখে অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার কলিন মানরো।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় মানরোর। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই পরের মাসে ওয়ানডে ও টেস্টে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের জার্সি গায়ে জড়ান। ৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে খেলেছেন ১২৩টি ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি কিউই জার্সিতে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল মানরোর। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন ৩৭ বছর বয়সী এ মারকুটে ব্যাটসম্যান।

অবসর প্রসঙ্গে মানরো বলেছেন, ‘ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে খেলা সবসময়ই আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অর্জন। এই জার্সি গায়ে জড়ানোর চেয়ে গর্বের কিছু হতে পারে না। এটি সত্য যে, সব সংস্করণ মিলিয়ে আমি ১২৩ বার এ জার্সি গায়ে জড়াতে পেরেছি। এ নিয়ে আমি আজীবন গর্ব করে যাব।’

মানরো যে অভিমান থেকে অবসর নিয়েছেন, সেটা উঠে এল তার পরের কথাতেই, ‘যদিও আমার সর্বশেষ ম্যাচের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তবে আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। ভেবেছিলাম, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্সা দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে পারব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস স্কোয়াড ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সেই (জাতীয় দলের) অধ্যায়টা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করার উপযুক্ত সময় এসেছে।’

নিউজিল্যান্ডের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তিনটি সেঞ্চুরি আছে মানরোর। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও খেলেছেন মানরো। সেবার ইংল্যান্ডের কাছে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল কিউইদের।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মানরো একটি টেস্ট, ৫৭টি ওয়ানডে ও ৬৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি আলো ছড়িয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। এ সংস্করণে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন মানরো, যা ওই সময় কিউইদের দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ বলে ফিফটি করেছেন মানরো, যা কিউই ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি চতুর্থ দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

এ সম্পর্কিত খবর

“বঙ্গবন্ধু শান্তিু পুরষ্কার” নামে আর্ন্তজাতিক শান্তি পুরষ্কারের ঘোষণা সরকারের

রাজশাহীতে ৩০ শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৬৫ দিন

নতুন প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষনা করেছে ইরান

টেকনাফ বাহারছড়ায় ডাকাতিসহ আট মামলার অভিযুক্ত পালাতক আসামি গ্রেফতার।

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্য উদ্বেগে বেড়েছে তেলের দাম

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেয়ে যা বললেন জায়েদ খান

মোখবারকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিলেন খামেনি

তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচন কাল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ