পেনশন স্কীম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা

প্রকাশিত: ০৬ মে, ২০২৪ ১০:৩৪:৪৬

পেনশন স্কীম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ সার্বজনীন পেনশন স্কীম বাতিল ও সুপার গ্রেড বহালের দাবিতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৫ই মে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাদেকুর রহমান'র সঞ্চালনায় এবং সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ ও   প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। সভায় সার্বজনীন পেনশন বাতিলে আগামী দিনের আন্দোলনের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য উপস্থিত সাধারণ শিক্ষকদের মতামত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষকদের গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।

এসময় সাধারণ শিক্ষকরা বলেন, সার্বজনীন এই পেনশন স্কীম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষকদের পেটে ছুরি মারা হবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশা থেকে দূরে সরে যাবে তরুণরা। যেখানে শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, সেখানে যারা এই শিক্ষা দিয়ে দেশের জন্য সুনাগরিক তৈরি করে তাদের সাথে এই বৈষম্য মেনে নেয়া যায় না। আমরা চাই সার্বজনীন পেনশন স্কীম ব্যবস্থা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু করা হোক। সার্বজনীন এই পেনশন বাতিলে আমরা সাধারণ শিক্ষকরা প্রয়োজনে কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনে নামতে রাজি আছি। বৈষম্যমূলক এই পেনশন নীতি আমরা মানি না।

এছাড়াও হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায় বলেন, অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে বলতে হচ্ছে, সার্বজনীন পেনশন স্কীমের যে, প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে সেটি জুলাই থেকে বাস্তবায়ন হবে। যদিও একটি প্রজ্ঞাপনে লেখা আছে যে, জুলাই মাস থেকে যারা নিয়োগ প্রাপ্ত হবে তারা এই পেনশনের আওতাভুক্ত হবে। কিন্তু আসলে এটি হবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক যখন অধ্যাপক হয় তখন সে গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-২ এ যাবে আবার গ্রেড-২ থেকে গ্রেড- ১ এ যাবে আর প্রতিবারই একটি করে নতুন নিয়োগপত্র পায় কাজেই এটি সবার জন্য প্রযোজ্য। কাজেই আমাদের সকলকে এই সার্বজনীন পেনশন নীতি প্রতিহত করতে হবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সাদেকুর রহমান বলেন, শিক্ষক বান্ধব নীতি না থাকায় বর্তমানে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আসা নিয়ে অনিহা দেখাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, স্মার্ট শিক্ষাঙ্গন প্রতিষ্ঠায় শিক্ষক বান্ধব পরিবেশ, নিয়মনীতি হওয়া প্রয়োজন।

সভার সমাপনী বক্তব্যে সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, আজকে এখানে উপস্থিত সকল শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে আমরা হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি আজকের এই সাধারণ সভার মাধ্যমে সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রত্যাখ্যান করছি। পাশাপাশি শিক্ষক সমিতির গৃহীত সকল সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং তারই ধারাবিহকতায় আমরা আগামী ৭ই মে সকাল ১১.০০ টায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মৌন মিছিল করবো। এছাড়াও আমরা শিক্ষকদের সুপার গ্রেডের বিষয়ও আন্দোলনে সম্পৃক্ত করবো। পরবর্তীতে আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিনে আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে  মানবন্ধনের আয়োজন করবো। তারপরও দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে আমরা আবার সাধারণ সভা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিবো।


নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চল হলেও আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি অঞ্চলে চোরা শিকারীসহ মানুষের অবাধ যাতায়াত রয়েছে। গত ২৪ বছরে সুন্দরবনে ২৬ বার আগুন লেগে সরকারি হিসেবে প্রায় ৭৫ একর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। মুনাফালোভী মাছ ব্যবসায়ী ও অসৎ বনকর্মকর্তার যোগসাজশে এবং অদক্ষ মৌয়ালদের কারণে সুন্দরবনে বার বার আগুন লাগছে। এর দায়ভার বনবিভাগ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, সুন্দরবন রক্ষায় আমরার সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল, স্থানীয় বাপা নেতা ওমর ফারুক, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা র লাকী বেগম, শহিদুল ফারাজী, মাসুদ প্রমূখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ, স্থানীয় জনগণ, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সুন্দরবনের মধ্যে মুনাফালোভী ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। নীতি-নির্ধারণী মহলের কাছে সুন্দরবন আজও গুরুত্বহীন। সুন্দরবন অক্সিজেন ও কার্বনের এক সুবিশাল ভাণ্ডার। প্রাণীর জীবন ধারক অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান-প্রদানের মাধ্যমে সুন্দরবন স্থানীয় জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। 

সভাপতির বক্তব্যে নূর আলম শেখ বন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সমালোচনা করে বলেন, কেবলমাত্র বন বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করলে সুন্দরবনের আমুরবুনিয়ার অগ্নিকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে না। তাই এশিয়ার ফুসফুস সুন্দরবনে মানবসৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন এবং এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ড বন্ধে বনবিভাগ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পরিবেশকর্মী, সুন্দরবন গবেষক ও বিশেষজ্ঞ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা 

এ সম্পর্কিত খবর

ইসলামী আন্দোলনের ঢাকার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত আর নেই

ফুটবলে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের পক্ষে এএফসি  

রাবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে: ফখরুল

খুলনার ৩ উপজেলার ৬৯ শতাংশ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

শিক্ষার মানোন্নয়নে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এসিজি’র অধিপরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

এবার ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন মির্জা কাদের

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা চালু

ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ সেতুমন্ত্রীর

শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ঘুম থেকে তুলে বিছানাপত্র নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ