সময় হওয়ার পরও আজান না হলে নামাজ পড়ার বিধান

প্রকাশিত: ০৪ মে, ২০২৪ ১১:২৬:৪৪

সময় হওয়ার পরও আজান না হলে নামাজ পড়ার বিধান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা একজন মুসলিমের অন্যতম দায়িত্ব। সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করেন বলেন জানিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। 

বর্ণিত হয়েছে, মহান আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে নির্ধারিত সময়ে পূর্ণরূপে রুকু ও পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবে, তাকে ক্ষমা করার জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর যে ব্যক্তি এরূপ করবে না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করবেন, অন্যথায় শাস্তি দেবেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৫)

এছাড়াও সময়মতো নামাজ আদায়কে সর্বোত্তম আমল বলে অভিহিত করা হয়েছে। হজরত উম্মু ফারওয়া (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বোত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, নামাজের সময় ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করা। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪২৬)

নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)

নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন বহন করে। জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য একামত দেওয়া সুন্নত। একাকী ফরজ নামাজ আদায় করলে একামত দেওয়া মুস্তাহাব। এজন্য ফরজ নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আজান ও ইকামতের গুরুত্ব অপরিসীম।

আজান সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ. আবদুল্লাহ ইবনে আবদুর রহমান আনসারী মাযিনী রহ. থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ সাঈদ খুদরী রা. তাকে বললেন, আমি দেখছি তুমি বকরি চরানো এবং বন-জঙ্গলকে ভালোবাস। তাই তুমি যখন বকরি চরাতে থাকো বা বন-জঙ্গলে থাকো তখন উচ্চকন্ঠে আজান দাও। কেননা, জিন, ইনসান বা যেকোনো বস্তুই যতদূর পর্যন্ত মুয়াজ্জিনের আওয়াজ শুনবে, সে কিয়ামতের দিন তার পক্ষে স্বাক্ষ্য দিবে। আবূ সাঈদ রা. বলেন, একথা আমি রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে শুনেছি। (বুখারি, হাদিস : ৫৮২)

দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচবার আজান দেওয়া হয়। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরই আজান দেওয়া হয়। তবে কোনো কারণে নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পরও আজান না হলে নামাজ আদায় শুদ্ধ হবে। কারণ, জামাতের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তবে আজানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, তা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দশন। আজানের মাধ্যমেই মানুষ নামাজের সময়ের ব্যাপারে সচেতন হয়। আর মসজিদ ছাড়া অন্য জায়গায় জামাতের ক্ষেত্রে স্বীয় এলাকার মসজিদের আজান সেই জামাতের জন্য যথেষ্ট হবে। (রদ্দুল মুহতার : ১/৪০৯, কানজুদ্দাকায়েক, পৃ. ১৯।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ