ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে রাবি ছাত্রলীগের বাঁধা

প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৬:৩৯:২৪

ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে রাবি ছাত্রলীগের বাঁধা

রাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। এসময় সরকার ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে, বিক্ষোভ মিছিলে এসে বাঁধা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ও তার অনুসারীরা।

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড় টায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সমাবেশে বক্তব্য প্রদান কালে বাঁধা দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না জানান, বিক্ষোভ মিছিলের পর বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বাঁধা সৃষ্টি করেন। যে দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, সে দেশে তো তারা বাঁধা দিবেই; এ বিষয়ে তাদের লাইসেন্সও রয়েছে। সরকারের কাছ থেকেই তারা এই অধিকার পেয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব হোসেন বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে আমি বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম। এসময় আমাদের বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাঁধা প্রদান করে। আমরা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি, ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন, এটি সামনে আরও বেগবান হবে। ছাত্রলীগের বাঁধাকে উপেক্ষা করে আমাদের কার্যকলাপ সামনে এগিয়ে যাবে—এ প্রত্যাশা তার।

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রায়হান আলি বলেন, কোন দেশে আছে যে সরকার প্রধানকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা যাবে না। "শেখ হাসিনার কাছে জবাব চাই"—এমন স্লোগান নাকি আমরা দিতে পারবো না। ২০২০ সালে সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণ, ২০১৮ সালে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আমরা দেখেছি ধর্ষণের ঘটনা। কিন্তু এগুলোর একটারও বিচার হয়না। এদের সাথে জড়িত কারা? ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরাই এসব কাজে লিপ্ত। এ বিষয়ে প্রতিবাদও করলেই আমাদের বাঁধা প্রদান করা হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, কতিপয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর নামে কটুক্তিমূলক  কথা এবং ছাত্রলীগের নামে বিতার্কিত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ক্যাম্পাসে সরকার ও ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিতে মানা করেছি। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নিবেনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের যে সকল নেতা-কর্মীরা এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের নামে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছে আমি অনুরোধ জানিয়েছি, এ ক্যাম্পাস আমার, আপনার সবার। ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে আমাদের ভুমিকা রাখতে হবে।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল নাইমসহ নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র যুব আনদোলন, ছাত্র গণমঞ্চ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

এ সম্পর্কিত খবর

ইসরায়েলগামী অস্ত্রবাহী জাহাজকে বন্দরে ভিড়তে দিলো না স্পেন

রাবিতে হিন্দু শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি ছাত্রলীগ নেতার

শিক্ষার্থীকে মধ্যরাতে ঘুম থেকে তুলে বিছানাপত্র নামিয়ে দিল ছাত্রলীগ

দুই বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল বেরোবি ছাত্রলীগ

রুশ হামলায় অন্ধকারে পুরো ইউক্রেন

দীর্ঘ প্রায় ১ যুগ পর কমিটি পেল হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ

রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

বিশ্বব্যাপী চলমান ইসরায়েল বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কার্যকরীতা কতটুকু?

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থী তিথির ৫ বছরের কারাদণ্ড

আমেরিকায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ৫০ অধ্যাপক গ্রেফতার

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ