বৈষম্যবিরোধী দুই নেতার কাছে তথ্য চাইল সেনাবাহিনী, খবর শুনে গেলেন সারজিস

প্রকাশিত: ০১ জুন, ২০২৫ ১১:০৪:৪৩

বৈষম্যবিরোধী দুই নেতার কাছে তথ্য চাইল সেনাবাহিনী, খবর শুনে গেলেন সারজিস

প্রজন্ম ডেস্ক : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত ১২টার দিকে পায়রা চত্বরে কয়েকটি গাড়িতে সেনাসদস্যরা এসে ইমতিয়াজ ও ইমরানের সঙ্গে কথা বলেন। জিএম কাদেরের বাসভবন ‘দ্য স্কাই ভিউ’-তে হামলার সময়কার ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বলা হয়।

এ বিষয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ফোন পেয়ে আমরা পায়রা চত্বরে যাই। তারা হামলাকারীদের শনাক্তে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে। আমরা নিশ্চিত করেছি, আমাদের লোকজনের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল না। কেউ থাকলে আমরা তথ্য দেব।’

এ সময় একই স্থানে ডাকা হয় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী (ডন) ও জেলা কমিটির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান (লাকু) কেও। তাঁদের দলের দুজনের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে শনাক্ত করতে বলা হয়।

শামসুজ্জামান সামু প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন সাহেব ফোনে ডেকে নিয়ে ভিডিও ফুটেজ দেখান। বলেন, আমরা যেন সহযোগিতা করি। আমরাও বলেছি, আগামীকাল কথা বলব, প্রয়োজনে তাদের হাজির করব।’

পরে রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সেনাবাহিনীর ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম, এনসিপির নেতা সারজিস আলম ও বিএনপির নেতারা। দেশের মানুষের বিপক্ষে যাবে, দলমত নির্বিশেষ যে খারাপ কাজ করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে সাংবাদিকদের বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম। তিনি বলেন, কোনোভাবেই মানুষের ক্ষতি হয়, ভাঙচুর করা হয়, এগুলো তাদের অবস্থানকালে করার সুযোগ নেই।

বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ব্রিগেডিয়ার হুমায়ুন কাইয়ুমের কাছে জানতে চান সাংবাদিকেরা। তিনি বলেন, ‘ওনারা দুজনই বলেছেন, আমাদের সহায়তা করবেন। ওনারা ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখেছেন। আইডেন্টিফাই (চেনা) করতে পেরেছেন, কেউ কেউ আছেন তাঁদের দলে। যাঁদের হাতে লাঠি ও অন্যান্য জিনিসগুলো ছিল, সেগুলো থাকার কথা ছিল না। তাঁরা বিব্রতবোধ করেছেন এবং কথা দিয়েছেন আজ রোববার তাঁদের হাজির করবেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করবেন না তাঁদের দল থেকে যেটা রংপুরের শান্তি বিনষ্ট করবে।’

এ বিষয়ে সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে হোক, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির যে কাউকে হোক, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে, অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু আমরা মনে করি, রাত একটা-দুইটা এটা আসলে ভালো…, মানে ওই সময়টাই দৃষ্টিকটু দেখায়। বরং আমরা প্রত্যাশা করি, তাঁদের যদি যেকোনো টাইমে (সময়ে) দিনের বেলা অফিস আওয়ারে ডেকে নেওয়া হয়, সবাই প্রস্তুত থাকবে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য।’

এর আগে রাত একটার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে সারজিস আলম লেখেন, ‘রংপুরে ফ্যাসিস্টের দোসরদের গ্রেপ্তার না করে সহযোদ্ধাদের বিব্রত করা হলে, আগামীকাল রাজপথে দেখা হবে।’
প্রজন্ম নিউজ 24/ মো:জিল্লুর রহমান 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ