প্রকাশিত: ০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৩০:০২
সাংগঠনিক তৎপরতা বেড়েছে সিলেট জামায়াত বিএনপিতে।দুই দলই ঢেলে সাজাচ্ছে কমিটি নেতৃত্বে আনছে নতুন পুরাতনের সংমিশ্রণ।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পলায়ন ও পতনের পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও এসেছে আশানুরূপ বেশ পরিবর্তন । আওয়ামিলীগ পতনের পর দেশের মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল দেশের সকল ধরনের অপরাধ মূলক কার্যক্রমের একক প্লাটফর্মের মনেহয় পতন ঘটলো।রক্তক্ষয়ী আন্দোলন প্রায় দুই হাজার শহীদ ও ৩৫ হাজারের অধিক অঙ্গহানি হওয়া সহ গুরুতর আহত ভাইবোনের ত্যাগের পর সবাই অপরাধ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ ভাবতে শুরু করেছে।দেশের শিক্ষার্থী সকল শ্রেণীর জনসাধারণ ও রাজনৈতিক দল গুলোর স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের মুখে দেশের সর্বকালের বড় স্বৈরাচার পলায়নে বাধ্য হয়।সকলের ত্যাগে প্রাপ্য স্বাধীনতা পরবর্তী নতুন শুরুর তাড়নায় অত্যন্ত ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সাথে গনঅভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে সক্ষম হোন।তাতে রয়েছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের অনস্বীকার্য ভুমিকা। তারা মূলত প্রতিশোধপরায়ণ না হওয়াতেই ভুক্তভুগী ছাত্রজনতা দেশবাসীকে সংযত রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভবকর হয়েছে।
আর এখানে দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলই অন্যতম স্টেক হোল্ডার। জুলাই বিপ্লবের আগপর্যন্ত মূলত এই দুই বিরোধী শক্তিই আওয়ামী স্বৈরাচার ও অবৈধ সারকারের দারা গত ১৬ বছর গুম খুন বিচারিক হোক আর বিচার বহির্ভূত হত্যা জেল নির্বাসন সহ সকল ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গত ১৬ বছর রাজনৈতিক শক্তির রক্ত জীবনের সিঁড়ি বেয়ে তিলেতিলে জুলাইতে এসে দেশের ছাত্রজনতা সহ সকলের রক্ত ও জীবন যুক্ত হলে আন্দোলন চুড়ান্ত রুপ নেয় আর ৫ আগষ্ট তা সফল হয়।রাজনৈতিক দল ও ছাত্রজনতার প্রতিনিধিদের সলাপরামর্শে দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যারা এখন সফলতা ব্যর্থতা সবমিলিয়েই দেশ চালাচ্ছেন।
ছাত্রজনতা চলমান সরকার রাজনৈতিক শক্তি সব এখন যারযার মতো দরকষাকষি করলেও এখনো সকলেই স্বৈরাচার গনহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাচ্ছে নির্দিষ্ট বেশ কিছু সংস্কার করে দেশেন পরিবেশ স্থিতিশীল ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন সহ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে।দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনী সুশৃঙ্খল পরিবেশ হলেই নির্বাচন দিয়ে গনতান্ত্রিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। রাজনৈতিক দলগুলোও সংস্কার চায় কোনোকোনো ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতাও করছে তারা। তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার ও তা দ্রুতই শেষ করতে তাগিদ দিচ্ছে বিএনপি।সরকার নিজেদের মেয়াদকাল পরিষ্কার না করায় সংশয় ও অসন্তোষ ও চেপে বসছে বিএনপির মধ্যে।যদিও এক্ষেত্রে জামায়াত একটু ঢিল দিচ্ছে সরকারকে শুধুমাত্র স্বৈরাচারের ফেলে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ সংস্কার বিবেচনায়।
এদিকে আবার দল গুছাতেও ব্যস্ত বৃহত্তর এই দুইদল সারাদেশে দিচ্ছে নতুন পুরাত মিশ্রিত কমিটি নিচ্ছে নির্বাচনী প্রস্তুতিও।অক্টোবরে সারাদেশে সুধী,কর্মী,রুকন সম্মেলন করেছে জামায়াত। দলীয় প্রধান জামায়াতের আমীর অতিথি হয়ে চসে বেড়ান সারাদেশ ফেলেছেন উল্লেখযোগ্য সাড়াও।দলটি রুকন সম্মেলনে সেরেফেলেছে জেলা মহানগর আমীর নির্বাচনও যেখানে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের নতুন নেতৃত্ব। তবে কোনো কোনো জেলা বা মহানগরে বর্তমান থাকা আমীর বা সভাপতি পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বহাল থাকেন স্বপদে।সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগের ৪জেলা ও ১ মহানগর আমীর নির্বাচিত হোন। ৫ জন আমীর যারা কেন্দ্রীয় সংগঠনের সহযোগিতায় ঢেলে সাজাবেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
সিলেট জেলা জামায়াতে আমীর হোন সিলেটের সজ্জন ব্যক্তিত্ব হেভিওয়েট মাওলানা হাবিবুর রহমান।সিলেট মহানগর রুকন ভোটে পুননির্বাচিত হয়েছেন বেশ পরিচিত মুখ মো. ফখরুল ইসলাম।মৌলবিবাজার জেলার আমীর নির্বাচিত জনাব ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী।হবিগঞ্জ জেলার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মোখলিছুর রহমান।সুনামগঞ্জ জেলার বর্তমান আমীর পূননির্বাচিত হোন উপাধ্যক্ষ তোফায়েল আহমদ খান।
সিলেট জেলা জামায়াত ইতিমধ্যে তাদের পুর্নাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে বাকি জেলা গুলোতে গঠন প্রক্রিয়া চলমান বলে জানিয়েছেন জামায়াত নেতৃবৃন্দ।ঐতিহ্যবাহী জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব জয়নাল আবেদীন কে সেক্রেটারি করে পুর্নাঙ্গ কমিটি সাজানো হয়েছে। নায়েবে আমীর করা হয়েছে দুইকনকে মানে সহসভাপতি পদমর্যাদার মাওলানা আনোয়ার হোসেন, প্রিন্সিপাল আব্দুল হান্নান।সহকারী সেক্রেটারি আরো দুইজন নজরুল ইসলাম এবং মাওলানা মাশুক আহমদ।
এদিকে বিএনপি ও কমিটি সাজাতে ব্যস্ত ৫ আগস্টের পর থেকে সিলেট মহানগর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী যিনি আবার কেন্দ্র ঘোষিত বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদকও।গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মহানগর সভাপতি বিদেশে সফররত থাকায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় থাকে। কিন্তু আবার মিফতাহ সিদ্দিকী বাদ পড়ে যান সদ্যগঠিত পুর্নাঙ্গ কমিটি থেকে যেখানে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের ৪ বার নির্বাচিত জনপ্রিয় কাউন্সিল সাবেক ১ম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কায়েস লোদী কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে পুনরায় এমদাদ হোসেন চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়।সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সৈয়দ সাফেক মাহবুব।এই তিনজন ছাড়াও ১৭০ জনের বড় একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত হয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড থেকে।
আহবায়ক কমিটি পায় সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাও সুনামগঞ্জে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিমউদ্দিন আহমেদ মিলন কে আহবায়ক করা হয়েছে। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সাবেক ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান কে আহবায়ক কমিটির ১ম সদস্য করে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
বড় দুই দলের কমিটি ঘোষণা সিলেটের রাজনীতিতে নতুনমাত্রা সৃষ্টি করেছে।নেতাকর্মীরাও বেশ উচ্ছ্বসিত বরড়েছে সাংগঠনিক কাজের গতিও।সিলেটের মানুষও মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলোর সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চা মানুষের রাজনৈতিক আগ্রহ বাড়াবে এবং তা নির্বাচনে শক্ত প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করবে।মানুষ ভালো থেকে উৎকৃষ্ট বাছাই করে প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ করতে পারবে।
ইমদাদুল হাসান সাকিব
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ১৯ জানুয়ারি
শরীয়তপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামীর চা-চক্র
কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইসলামী দাওয়াত এর গুরুত্ব!
কলকাতায় ড. ইউনূস ও বাংলাদেশের পতাকা অবমাননায় জামায়াতের উদ্বেগ
‘জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা নিজেই নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন’
শিক্ষাঙ্গনে 'নো হার্ম প্রিন্সিপল' পলিসি নির্ধারণ করেছে ছাত্রদল
২৮তম বিসিএস ফোরামের সভাপতি জামিলা শবনম ও সাধারণ সম্পাদক হাসনাত মোর্শেদ
বাগআঁচড়া দারুল আমান শিক্ষা সদনে শিক্ষার্থিদের বিদায় ও দোয়া
ফরিদগঞ্জ উপজেলার নবাগত (ইউএনও)সাথে জামায়াতের মতবিনিময়
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন আইনজীবী হত্যা ও চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ