প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৩৪:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক:২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠার তাণ্ডব নৃশংসতা ও বর্বরতায় খুনিদের বিচারের দাবিতে পটুয়াখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পটুয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা।
(২৮ অক্টোবর) সোমবার বিকাল চারটায় আছরের নামাজ শেষে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পটুয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আয়োজনে পৌর শহরের ঝাউতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পটুয়াখালী মডেল মসজিদে মাগড়িব এর সালাত এর মাধ্যমে শেষ হয়। এর আগে ঝাউতলা এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পটুয়াখালী জেলা আমীর অধ্যাপক মো. শাহ আলম, নায়বে আমীর এ্যডভোকেট মো. নাজমুল হাসান, জেলা বাইতুলমাল সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম সোহাগ। যুব বিভাগের সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাংকার রফিকুল ইসলাম বাশার৷ সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ হাবিবুর রহমান। পৌরসভা আমীর মাওলানা আবুল বশার।আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের পটুয়াখালী শহর সভাপতি তাইমিয়া বিন হারুন। জেলা সভাপতি মোঃ মাহাদি হাসান নাহিদ, সাবেক শহর সভাপতি কবির হোসেন ও পটুয়াখালী সদর যুব জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মোঃ শহিদুল ইসলাম।
জামায়াতে ইসলামী আমীর অধ্যাপক শাহ আলম বলেন, ২০০৬ সালে ২৮শে অক্টোবর এক নরকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে রক্তচোষা একটি দল এই বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসবার চেষ্টা করেছিল,এক পাশকীয় হত্যা যোগ্য করা হয়েছিল, হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে এই দেশে সু প্রচির রাজনৈতিক দল, আওমিগের মৃত্যু ঘন্টা বেজে ছিলো।
তিনি আরও বলেন, রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর আজ। ২০০৬ সালের এই দিনে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্ক অধ্যায় রচিত হয়। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বধীন ১৪ দলের জোটের সমাবেশ থেকে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি বইঠা দিয়ে তরতাজা তরুণদের পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে ও পার্শ্বপিকতায় কেঁদেছে বাংলাদেশ, কেঁদেছে মানবতা। জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব থেকে শুরু করে সারা বিশ্বে উঠে প্রতিবাদের ঝড়।
এ্যডভোকেট নাজমুল আহসান বলেন, ২০০৬ সালের যে লগি বৈঠার তান্ডব হয়েছে সব পরিকল্পিত হয়েছে। শেখ হাসিনা আগেই বলে দিয়েছে যে লগি আর বৈঠা নিয়ে আসতে ঐ মামলায় ১৪ বার শেখ হাসিনার ফাসি হওয়া উচিৎ পর্বতিতে ৪৮ জন ভাই শহিদ হয়েছে তাতেওতো ৪৮ বার ফাসি হওয়া উচিৎ। তিনি আরও জানান, আমরা সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি ইসলামী সমাজ বিনির্মান করবো ইনশাআল্লাহ। এছারাও পটুয়াখালী সকল উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিবিরের শহর সভাপতি তাইমিয়া বিন হারুন বলেন, আমার মাসুম ভাইকে এমন ভাবে যেন তার মাথাকে ইটদিয়ে থেতলে থেতলে দিয়ে দিলো তার সমস্ত মগজগুলোকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমার মুজাহিদ ও জসিম ভাইকে এমন ভাবে থেতলে দেওয়া হয়েছিলো। তারা চেয়েছিলো লগি বৈা দিয়ে লাশ গুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিলো। প্রজন্মনিউজ২৪/তোফাজ্জেল
তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের এই শহিদ ভাইদের রক্ত বেথা যেতে দিবো না। আমরা আমাদের এই ভাইদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে যে সোনালী দেশ পেয়েছি। আমরা আমাদের ভাইদের এই রক্তত্যাগের মধ্যে দিয়ে ইসলামি সমাজ তৈরী করবো।
প্রজন্মনিউজ২৪/তোফাজ্জল
যে কারণে চট্টগ্রামের ৫০ কারখানা সাময়িক বন্ধ
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ
বিএনপির সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের প্রধান শর্তই জামায়াতের ‘সঙ্গ ত্যাগ’
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপিকে নিয়ে ভারতের ‘পরিকল্পনা’ কী?
বাংলাদেশের পর এবার গাজাবাসীর পক্ষ নিলো পাকিস্তান
ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিজয়
ভোলায় ৬ দফা দাবিতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িতদের অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে’