পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের

প্রকাশিত: ৩১ অগাস্ট, ২০২৪ ০৭:৪৪:৪০

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে তিনি ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে কড়া ভাষায় মন্তব্য করেন।

শনিবার (৩১ আগস্ট) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জয়শঙ্কর বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সংলাপের যুগ শেষ। সীমান্তের ওপারে যা ঘটবে সে অনুসারে ভারত ইতিবাচক বা নেতিবাচক জবাব দেবে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগের আমি বলতে চাই যে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে। ফলে আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চাই সেটি হলো বিষয়। আমরা নিষ্ক্রিয় নই। ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেমন ঘটনা ঘটানো হবে আমরা সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব।

আগামী ১৫-১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্মেলনে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা অংশ নেবেন। এতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ।

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিছু দেশ এরই মধ্যে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কোন কোন দেশ নিশ্চিত করেছে তা যথাসময়ে জানানো হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, জম্মুতে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা পাকিস্তানে উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রী সফর নিয়ে নেতিবাচক পরিবেশ তৈরি করতে পারে। গত মাসে কারগিল বিজয় দিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক বার্তায় পাকিস্তানের উদ্দেশে বলেন, তারা ইতিহাস থেকে কিছুই শেখেনি।

জানা গেছে, সবশেষ পাকিস্তানে সফর করেছিলেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা রাজ। ২০১৫ সালে তিনি দেশটিতে সফর করেন।

প্রসঙ্গত, এসসিওর সম্মেলনে কোনো দেশের রাষ্ট্রনেতাকেই উপস্থিত থাকতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এর আগে চলতি বছরেই জুলাইয়ে কাজাখস্তানে এসসিওর বৈঠকে থাকেননি মোদি। পরিবর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। আবার গত বছরেও গোয়ায় এসসিও বৈঠকে যাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। বদলে তিনি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে পাঠিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নতির সম্ভাবনা খুবই কম। কেননা ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে। অন্যদিকে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় পাকিস্তান।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ