ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনী

প্রকাশিত: ২১ অগাস্ট, ২০২৪ ০৬:২৭:২৯

ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনী

নিউজডেস্ক:

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং ফেনীর কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। হাজার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি, মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তিন জেলার কয়েক লাখ মানুষ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীতে পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় চার হাজার হেক্টর এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি ও ঢলের পানি ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। আজ সকাল পর্যন্ত নদীটির পানি বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করলেও দ্রুতই দুকূল ছাপিয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গোমতী পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১০ বছরের মধ্যে নদীটিতে এত পানি দেখেননি তাঁরা। পানি বাড়ায় চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। কুমিল্লা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলাটিতে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরও বৃষ্টি হতে পারে।

নোয়াখালী জেলায় নয়টি উপজেলার সবকটিতেই বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। এতে লোকজনের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। খাল উদ্ধার ও পানি নিষ্কাশনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

টানা এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে পুরো নোয়াখালী জেলাজুড়ে। জেলার সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর উপজেলার বেশিরভাগ নীচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাক-সবজি।

এছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে আমন লাগাতে পারছেন না। জলাবদ্ধতায় আটকে আছে ২০ লাখ মানুষ। ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নোয়াখালীবাসীর। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় দ্রুতই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান পানিবন্দি মানুষজন।

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সিলোনীয়া, মুহুরী এবং কহুয়া নদীর ১১টি ভাঙা বাঁধ দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার পরশুরামের দক্ষিণ শালধর, ফুলগাজীর দৌলতপুর, নিলক্ষী, কিসমত ঘনিয়ামোড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার ১১টি ভাঙা বাঁধ দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করলে দুই উপজেলার মোট ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে ফসলি জমি ও মাছের ঘের বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। 


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএ

এ সম্পর্কিত খবর

ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি এপিবিএন সুজন ৩ দিনের রিমান্ডে

বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হতে ২০২৬

পবিপ্রবিতে দিনব্যাপী ক্রয় এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা কর্মশালা

হল উদ্ধার নিয়ে ভূয়া তথ্য ছড়াচ্ছে জবি শিক্ষার্থী বকর

আমেরিকার ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মুক্তির প্রসঙ্গ

মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ভারতে ফের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক

তাপমাত্রা ‍নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আয়নাঘর পরিদর্শনের ক্ষমতা পেল গুমের তদন্ত কমিশন

একে অপরে বিশ্বাস নেই ভারত ও পাকিস্তানিদের, ব্যতিক্রম বাংলাদেশিরা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ