প্রকাশিত: ০৫ জুলাই, ২০২৪ ০৬:৩৩:৪৯ || পরিবর্তিত: ০৫ জুলাই, ২০২৪ ০৬:৩৩:৪৯
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে চলতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ঢাকা-সহ সারা দেশের বাজারে নানা জাতের আম উঠলেও আমের দাম নিয়ে বেশ অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রেতাদের মাঝে। অনেকেই বলছেন, এ বছর আমের দাম এত বেশি যে আম কিনতে হিমশিম খাওয়ার জোগাড় তাদের।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার একাধিক খুচরা দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, এক কেজি আম কিনতে হলে একজন ক্রেতাকে অন্তত ১০০ থেকে ১৩০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আমের জাত ও আকারভেদে এই দাম অনেক সময় আরও বেশি পড়ছে।
গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে আমের মৌসুমে অনেকে অনলাইনেও আম বিক্রি করছেন।
তেমনই কয়েকজনের সাথেকথা বলে জানা যায়, এবছর তারা গত বছরের চেয়ে অন্তত ৪৫-৫০ টাকার বেশি দরে হিমসাগর আম বিক্রি করছেন।
গত বছর ওই আমের কেজি ছিল ৮৫ টাকা, এবছর তা ১৩৫ টাকা।
কিন্তু কেন গত বছরের তুলনায় এবার দাম এত বেশি? এর ব্যাখ্যা হিসাবে কৃষক থেকে শুরু করে কৃষি অধিদপ্তর, সবার বক্তব্য অনুযায়ী এবছর আমের ফলন কম হওয়ার পেছনে মূল কারণ ‘অফ ইয়ার’।
মূলত, যে বছর আমের উৎপাদন ভালো হয় তার ঠিক পরের বছর আমের উৎপাদন তুলনামূলক খারাপ হয়। ভালো হলে সেটিকে ‘অন ইয়ার’বলে।
রংপুরের আমব্যবসায়ী সুজন আব্দুল্লাহ বলেন, “এবছর অফ ইয়ার। আগেও আমরা দেখেছি যে বছর বেশি ফলন হয়, পরের বছর কম হয়। সেজন্য সামাজিক ও পারিবারিক বাগানগুলোতেও এসময় পরিচর্যা কম করে।”
এছাড়া, আমের কম উৎপাদনের আরও দুই কারণ হল উচ্চ তাপমাত্রা ও কম বৃষ্টিপাত।
“অতিরিক্ত তাপমাত্রায় যদিও কমার্শিয়াল বাগানে সেচ দেওয়া হয়, বাগানে পানি দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও প্রাকৃতিক যে আবহাওয়া, তা কৃত্রিম কিছু দিয়ে পূরণ করা যায় না,”।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত রোদের কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়েছে, আম ফেটে গেছে।
আবার মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় 'রিমালে'র কারণেও আমের ফলনে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে। উপকূলে আঘাত হানার পর থেকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করেছিল সাম্প্রতিক সময়ের দীর্ঘস্থায়ী ঝড় রিমাল। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে অনেক আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই ঝরে পড়েছিল।
শুধু তাই নয়, 'হপার পোকা’র আক্রমণের কারণেও এবার অধিকাংশ কোম্পানির ফলন খারাপ হয়েছে বলেও বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন রাজশাহীর বানেশ্বরের আড়তদার মো. সাইফুল ইসলাম।
চলতি বছর কেন আমের ফলন কম হলো? কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বিবিসিকে জানান,
“এবার আমের ফলন কম হবে। তবে কত কম হবে, সেটা আরও পরে বোঝা যাবে” তার ধারনা এ বছর সারা দেশে সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে।
“গত বছর শুধু কমার্শিয়াল বাগানেই ওই আম হয়েছে। সামাজিক ও পারিবারিক বাগানেও অনেক আম হয়েছিল। এবার কমার্শিয়াল, সামাজিক, পারিবারিক, সব মিলিয়েই এই পরিমাণ আম হতে পারে।”
তাছাড়া আমের দাম বৃদ্ধির জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌড়াত্ব তো আছেই ,আমের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কত দামে আম বিক্রি হচ্ছে, তা তখনই নির্ধারিত হয় যখন আম পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে এসে পৌঁছায়।
প্রজন্মনিউজ২৪/মুশ
পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে নতুন আইন আগামী সপ্তাহে : প্রেস সচিব
মালখানা থেকে ইয়াবা সরিয়ে বিক্রি করতেন এসপি রহমত
ছাত্রদলের প্রশংসা করে শিবির সভাপতির স্ট্যাটাস
ছাত্রদল নেতার হাত-পায়ের রগ কাটলেন বিএনপি নেতারা
রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?
ভারতে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ইসরাইলি নারী
দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা এবার বিজয়ী হতে চলেছি: এএফপিকে নাহিদ
কেউ হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ থাকবে, প্রশ্ন টুকুর
নারীর প্রতি সহিংসতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে হকারকে ঢাকা কলেজ ছাত্রদল নেতার মারধরের অভিযোগ