প্রকাশিত: ০৩ জুলাই, ২০২৪ ০৬:৪৯:২০
অনলাইন ডেস্ক:
চিনি, শর্করা, সুগার - যে নামেই ডাকুন, গত কয়েক দশকে বিজ্ঞানী আর ডাক্তারদের ক্রমাগত সতর্কবার্তার ফলে এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনস্বাস্থ্যের এক নম্বর শত্রু। কিছু গবেষণায় বলা হয়, চিনি বা মিষ্টি খাওয়ার আকর্ষণ কোকেনের আকর্ষণের মতোই - যাকে বলা চলে একটা নেশা।
অনেকই আছেন যারা চিনিযুক্ত খাবার খুব পছন্দ করেন। ক্ষুধা লাগলেই তাই প্রিয় ডেজার্টের চমৎকার স্বাদের কথা মনে পড়ে যায়। তবে চিনিযুক্ত খাবার আনন্দ আর তৃপ্তি দিলেও জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। আমারা অনেকই জানি না নিজের অজান্তে আমরা চিনির ওপর কতটা নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি।
* অতিরিক্ত চিনি আর্থ্রাইটিস বা বাত, চোখে ছানি, হৃদরোগ, দুর্বল স্মৃতিশক্তি বা কুঁচকে যাওয়া ত্বকসহ খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
* চিনি দ্রুত হজম হয়, ফলে খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরেও আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন। চিনি ‘ডোপামিন’তৈরির ক্ষেত্রে বেশ পরিচিত। যাকে মাদকদ্রব্যে আসক্ত তৈরি করার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। আপনি যত বেশি চিনি খাবেন আপনার শরীরের তত বেশি চিনি চাইবে। কারণ চিনিকে মস্তিষ্ক একটি ট্রিট বা পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করে। যা চিনিযুক্ত খাবার এবং অন্যান্য সুস্বাদু খাবারের আকাঙ্খা বাড়িয়ে দিবে।
* গ্লুকোজ শরীরে শক্তি যোগায়, তাই রক্তে শর্করার একটি স্বাস্থ্যকর স্তর বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন মিষ্টি খান তখন অগ্ন্যাশয় কোষে গ্লুকোজ পরিবহনে সহায়তা করার জন্য ইনসুলিন নিঃসরণ করে। ফলে আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত চিনি এই চক্রটির ওপর প্রভাব ফেলে, চক্রটি চলাকালীন আপনার শক্তির স্তর বাড়ে না উল্টো হ্রাস পায়।
* বেশি চিনিযুক্ত খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং গ্লাইকেশন প্রক্রিয়া শুরু করে। ফলে প্রোটিন অণুর সঙ্গে চিনির সংযুক্তি ঘটে। এতে শারীরবৃত্তীয় কাজে সমস্যা শুরু হয় যা শেষ পর্যন্ত প্রদাহ এবং ত্বকের সমস্যা ঘটায়। নিয়মিত ত্বকের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়।
* নিঃসন্দেহে চিনিযুক্ত খাবার গহ্বর এবং দাঁতের সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে।
*চিনি খেলে তলপেট, চিবুক, হাত ও পায়ের পেশীসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট জমতে শুরু করে। ফলে শরীর খুব দ্রুত মোটা হয়ে যায়। অতিরিক্ত ফ্যাট জমে গেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
* ঘন ঘন ফ্লু এবং সর্দি-কাশিতে ভুগার কারণ হতে পারে চিনি।
* অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি দৈনিক চিনি থেকে ১৫০ ক্যালরি গ্রহণ করা হয়, তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রায় ১ দশমিক ১ শতাংশ।
* অতিরিক্ত চিনি খেলে লিভারের চারপাশে অতিরিক্ত চর্বির স্তর তৈরি হয়। ফলে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যেতে থাকে।
*বেশি মাত্রায় চিনি খেলে রক্তের প্রবাহ পরিবর্তিত হয়। ফলে হার্ট অ্যাটাক, হার্টফেল করার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
* চিনির কারণে আলঝেইমারসের মতো রোগ হতে পারে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় চিনি।
* অতিরিক্ত চিনে খেলে বিষণ্নতা তৈরি হয়। শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগে।
*ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আয়ু কমিয়ে আনে চিনি। এ ছাড়া চিনি বেশি খেলে ক্যান্সারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
* বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পর অপ্রীতিকর গ্যাস এবং বদহজমের কারণে অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে। বদহজম বা পেট ফোলর ক্ষেত্রে চিনি উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। চিনি সাধারণত গ্যাস উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া হিসেবে কাজ করে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এসএ
র্যাবের সাবেক ২ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলো
ইসরাইলে আজানের উপর নিষেধাজ্ঞা, নিন্দা মার্কিন মুসলিম কমিউনিটির
বাংলাদেশ-ভারত সংখ্যালঘু ইস্যুতে বিজেপির তোপের মুখে মেহবুবা
আয়ারল্যান্ডকে ১৮৫ রানে গুটিয়ে দিলো বাংলাদেশ
‘১০ শতাংশ মানুষ ভোগ করছে ৮৫ শতাংশ সম্পদ’
সরকার পতনের পর ভারতে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ বাড়ার তথ্য সঠিক নয়
বিনা পারিশ্রমিকে তৈরি করা হয়েছে ‘শ্বেতপত্র’: ড. দেবপ্রিয়
ডেঙ্গুর গুরুত্ব কমায় বাড়ছে মৃত্যু