প্রকাশিত: ০৯ জুন, ২০২৪ ০৩:৩৮:১১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর এ হামলায় হাজার-হাজার নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। গাজায় এমন অপরাধের জন্য ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে কালো তালিকভুক্ত করেছে জাতিসংঘ।
শনিবার (০৮ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের তালিকায় অপরাধী হিসেবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে যুক্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, শুক্রবার (০৭ জুন) জাতিসংঘ থেকে এক প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন গিলাদ।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিখ বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি তাকে বার্ষিক “চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট”প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি জানান। বিষয়টির গোপনীয়তা যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য এমনটা করা হয়েছে। আগামী ১৪ জুন বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হবে।
সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে “শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার”তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’। এদিন ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। পাশাপাশি ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এরপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ২৮ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। চার মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজার ৩৬ হাজার ৭৩১ জন নিহত হয়েছেন। উপত্যকায় নিহতের মধ্যে ৬৯ থেকে ৫২ শতাংশ নারী ও শিশু রয়েছেন বলে গত মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫ হাজার ৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।
ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯ জনই “ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে”রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা গত সপ্তাহে জানিয়েছে ‘গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ এ পরিসংখ্যান তৈরি করেছে। তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা হামাস পরিচালিত সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিবর্তে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ওপর নির্ভর করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করেছে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এসএ
যুদ্ধে হারিয়ে যাওয়ার এক বছর পর শিশুকে খুঁজে পেলেন ফিলিস্তিনি বাবা
ফিলিস্তিনিদের ‘সম্মান’ করার আহ্বান ম্যাক্রোঁর ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান,
বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে ইউএনডিপি
সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে গুয়েতেমালায় নিহত ৫১
অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৬ দাবিতে শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান
আহত ও শহীদ পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া শুরু