আবারও ইমাম-মুয়াজ্জিন নেবে কাতার

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ ০৩:০৩:০৮

আবারও ইমাম-মুয়াজ্জিন নেবে কাতার

বাংলাদেশ থেকে আবার ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে কাতার সরকার। কাতারের ওয়াকফ ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের পরীক্ষা নিতে চলতি সপ্তাহে ঢাকায় আসছেন দুই সদস্যবিশিষ্ট প্রাথমিক বাছাই কমিটি। কমিটির সদস্য মাওলানা ফখরুল হুদা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

মাওলানা ফখরুল হুদা বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটা থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় মসজিদে (কবরস্থান) পরীক্ষা শুরু হবে। বাংলাদেশের নাগরিক ফখরুল হুদা কাতারে মসজিদের ইমাম হিসেবে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ও সুদানি বংশোদ্ভূত আরেকজন কর্মকর্তা ঢাকায় প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা নেব। এরপর মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কমিটি ঢাকায় গিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে। এবার কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই। ফলে আশা করছি, এবার আগের চেয়ে বেশিসংখ্যক ইমাম-মুয়াজ্জিন কাতারে নিয়োগ পাবেন।’

ফখরুল হুদা আরও বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের আরবি ভাষায় দক্ষতা রয়েছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁদের জামেয়া বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ডিগ্রি রয়েছে, তাঁদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কাতার ওয়াকফ ও ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ইমাম-মুয়াজ্জিন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আগ্রহী প্রার্থীকে অবশ্যই স্বীকৃত আলেম অথবা ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে। সর্বনিম্ন ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়সী প্রার্থীরা এ পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন। প্রার্থীকে অবশ্যই কোরআনে হাফেজ হতে হবে। পাশাপাশি সুন্দর কণ্ঠ ও ভালো তিলাওয়াতের দক্ষতা থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় ইবাদত সম্পর্কে জানা থাকতে হবে।

ফখরুল হুদা আরো বলেন, আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট অথবা পরিচয়পত্র বা জন্মসনদের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে। প্রাথমিক পরীক্ষায় পাস করার পর জীবনবৃত্তান্তের মূল কপি জমা দিতে হবে। পাশাপাশি উত্তীর্ণ প্রার্থীকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে সত্যায়ন করে জমা দিতে হবে।

সবারই মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারে উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীকে উত্তম চরিত্রের সনদ ও স্বাস্থ্যসনদ জমা দিতে হবে।

এক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ৯৬ জন মুয়াজ্জিন নিয়োগ দিয়েছিল কাতার সরকার। সে সময় রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে কাতারে কয়েক শ মসজিদে বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন সুনাম ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ