খুলনায় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০১:০১:৪৮ || পরিবর্তিত: ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০১:০১:৪৮

খুলনায় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার দাকোপে বিভিন্ন হাট-বাজারে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে ইউরিয়াসহ বিভিন্ন সার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকার হাজারো আমন চাষি পড়েছেন মহা বিপাকে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বিসিআইসির মোট ১০ জন ও বিএডিসির ৪ জন মূল সারের ডিলার রয়েছে। এছাড়া ৯৫ জন খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছে। সরকার প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের মূল্য ২৭ টাকা, টিএসপি ২৭টাকা, এমওপি ২০ টাকা, ডিএপি ২১ টাকা নির্ধারণ করেছে। গত বছরের মত এবারও আমন মৌসুমে মোট ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপসি ১৬ হাজার ১৫৫ হেক্টর, স্থানীয় জাত ২ হাজার ৯২৫ হেক্টর ও হাইব্রিড ১৫০ হেক্টর। এই উপজেলায় সাধারণত রবি ও আমন মৌসুমে এলাকার হাজারো কৃষকের সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকদের এই চাহিদাকে পুজিঁ করে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রীতিমত সার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ডিলাররা।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চালনা, বাজুয়া, কালিনগর, নলিয়ান বাজারসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের ছোট বাজারগুলোতেও সরকার নির্ধারিত ওই মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন ডিলার ও খুচরা বিক্রেতারা। সরকারী মূল্য তালিকা ঝুঁলানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আর কৃষকরাও বাধ্য হচ্ছেন অতিরিক্ত দামে সার কিনতে। সরকার ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের দোরগড়ায় সার পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করলেও এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে কৃষকরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে এলাকার সচেতন মহলের অভিমত। এটা যেন মগের মুল্লুক বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।

সাহেবের আবাদ এলাকার সমির চৌকিদার, বটবুনিয়ার প্রনব কবিরাজ, পানখালীর মনিশংকর রায় সহ বিভিন্ন অঞ্চলের একাধিক কৃষকের সাথে আলাপকালে তারা জানান, সারের দোকানে গেলে প্রথমে বলে সার নেই। সারের সংকট চলছে। পরে প্রতি কেজিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩ থেকে ৫ টাকা বেশি দাম নিয়ে সার দেয়। বিশেষ প্রয়োজনে অনেক বেশি দাম দিয়ে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন বলে তারা জানান। ডিলাররা সিন্ডিকেট করে সারের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তারা মন্তব্য করেন। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ডিলাররা আর তার কাছে সার বিক্রি করে না। কৃষি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে তারা বলেন দরখাস্ত দিতে। যদি রবি ও আমন মৌসুমে কৃষি অধিদপ্তর থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে দিলে কৃষকরা হয়রানি কম হতো বলে তারা মনে করেন।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, সারের অতিরিক্ত দাম নেয়ার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কারো কাছ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা মৌখিক ভাবে শুনে যখন মোকামে যাই তখন আর প্রমান পাইনে। আবার ডিলারদের কাছে শুনলে তারা অতিরিক্ত দাম নেয়ার বিষয়ে অস্বিকার করে। সঠিক প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অতি দ্রত ডিলারদের ডেকে নির্বাহী কর্মকর্তার ওখানে একটা মিটিং করবো। সেখানে সাংবাদিকদেরও ডাকবো।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ