“হিফযে কোরআন”

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:২৭:১৬

“হিফযে কোরআন”

মোহাম্মাদ ত্বহা খান: কোরআনুল কারিম মহান আল্লাহ্ পাকের কালাম। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে ইহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে। মহান সৃষ্টিকর্তার মনোনীত পথে চলার জন্য ইহা মানব জীবনের একমাত্র বিধান-গ্রন্থ। মানব-জন্ম হইতে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধান আল-কোরআনে লিপিবদ্ধ রহিয়াছে। ত্রিশ পারা সম্বলিত সর্বমোট একশ' চৌদ্দটি  সূরা রহিয়াছে। ইহা আল্লাহ্ তা'আলার এক অমোঘ বাণী বা মানবের ইহকালের মুক্তি ও পরকালের নাজাতের সংবিধান-গ্রন্থ। ইহাতে মানব-দানবের জীবনে সংঘটিত খুটিনাটি যাবতীয় সমস্যার সমাধান রহিয়াছে। 

ইহাই আল্লাহ্ পাকের সর্বশেষ বিধান-গ্রন্থ। ইতিপূর্বে হযরত মূসা (আঃ) এর উপর তাওরাত এবং হযরত দাউদ (আঃ) এর উপর যাবুর ও হযরত ঈসা (আঃ) উপর ইনজিল যথাক্রমে যে নাজিল হইয়াছিল,উহাদের সংবিধানের কতক অংশ রহিত ও বাতিল হইয়া প্রয়োজনীয় ও কাঙ্ক্ষিত বিধান আল-কোরআনে সংস্থাপিত হইয়াছে। সুতরাং আল-কোরআনই সর্বশেষ ও স্থায়ী সংবিধান-গ্রন্থ। 

আল-কোরআন যেহেতু আল্লাহ্ তালার পরিপূর্ণ শেষ বিধান ইহার পরে আর কোন বিধান আসিবে না, তাই আল্লাহ্ বলেন : ইন্না-লাহু লাহা-ফিজুন- অর্থাৎ আমিই ইহার হিফাজত ও রক্ষণাবেক্ষণকারী । আল্লাহ্ পাক যে বস্তুর হাফিজ বা হিফাজতকারী তার ক্ষতির বা অপচয়ের চিন্তাই করা যায় না।

আল-কোরআনের হিফাজতের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্ গ্রহণ করিয়াছেন, তাই ইহার আংশিক হইলেও মানুষেরও ইহার রক্ষণাবেক্ষণ করা অপরিহার্য। আর ইহা যে স্থানে অর্থাৎ কলব-দিলে সংরক্ষিত হইবে, সেটাই হইবে আল্লাহর ঘর। স্বাভাবিক কথা, আল্লাহর ঘরের হিফাজত আল্লাহ্ স্বয়ং করিবেন। এই জন্যই আল-কোরআনের হাফিজদের কলব মৃত্যুর পরে সারা দেহ ধ্বংস হইয়া গেলেও উহা অনুরূপই অক্ষত থাকিবে। তাই বলিতে হয়, আল-কোরআনের হাফিজগণ সত্যি ভাগ্যবান, আল্লাহর অকৃত্রিম বন্ধু–কোরআন হিফাজতের সহায়ক। মূলত ক্বোরআন মজিদ হিফজ করিতে পারা এবং উহা হিফজ থাকা পাক কোরআনের মু'জিজা ভিন্ন কিছু নয়। একই কারণে এ গুণ যাদের অর্জিত হয়, আল্লাহ্ পাকের নিকট তারা অশেষ মর্যাদার অধিকারী।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমটি

এ সম্পর্কিত খবর

“হিফযে কোরআন”

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ