"চির মুসাফির"

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১২:৩৬:৩৭

সিফাতউল্লাহ আফিফ : নিকষকালো আঁধারে তাকিয়ে আমি ভবিষ্যৎ দেখি। চোখ বুঁজে চেয়ে থাকি কিলবিল করা স্বপ্নের মাঝে৷ দূর থেকে আসা প্রতিটি ইঙ্গিত আমাকে বয়ে নিয়ে যায় মহাবিশ্বের মহা প্রান্তে। আমি চেয়ে থাকি, দেখি এবং ফিরে আসি। তারপর একদিকে হেলে মস্তিষ্ক থেকে সকল বর্জ্য নিঃসরণ করে আবার আলোতে ফিরে আসি। 

সেখানে দেখতে পাই প্রতিটি জীবন্ত সত্তা দৌড়াচ্ছে, কেবল দৌড়াচ্ছে। তাদের পেছনে জড়রাও সহযোগী হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দৌড়াতে থাকে একই পথে যেখানে পূর্বে কেউ হাটেনি। প্রতিজন ঠিক ভিন্ন ভিন্ন পথেই এগিয়ে যায়। যে পথে কখনো কোনো আদম হাটেনি, সে পথের শেষ কারো জানা নেই। কেউ কখনো জানতে পারেনি৷ কেবল যখন তার আর হাটার সামর্থ থাকবেনা, তখনি আগ্রহীরা জানবে সে এতোদিন কোন পথে হেটে গিয়েছিলো?

এই অনিশ্চিত-অজ্ঞাত পথের পথিক প্রতি পদেপদে নতুনত্ব দেখে এবং আশ্চর্যান্বিত হয়। সে প্রতিনিয়ত তার নিয়ত বদলায়। কখনো কখনো পথের বাঁক নিয়ে ভিন্ন পথে হাটা শুরু করে। যে পথটা তার আরো বেশী অপরিচিত। কিন্তু সে মনে করে পূর্বের চাইতে এই পথটা অধিক সহজ। সে ঐ পথের পাশে একটি সুমিষ্ট পানির নদী, একটি ভ্রাম্যমাণ খাদ্য ভাণ্ডার, পরীদের দলছুট, পাখিদের মোহনিয়া গান আর পথের আরো বেশী প্রশস্ততা কামনা করে এগিয়ে যায়।

জনৈক পথিক সেই পথে এগিয়ে যায় এবং পথের ধারে ছড়িয়ে থাকা ঐশ্বর্য গ্রহণ করে করে নিজের পুটুলী ভরে রাখে। সে নিশ্চিন্তে এগিয়ে যায়। কারণ এ পথ কেবল তার জন্যেই তৈরী। অন্য কেউ তার পথে ভাগ বসাতে আসবেনা! সে আরো এগিয়ে যায় এবং বাঁক ফিরে দেখে আরো একটি রাস্তার সংযোগ! সে প্রবল আশায় সেই পথে নতুন যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পূর্বের কোনো পথের সাথে এর কোনো মিল দেখতে পায়না। সে বুঝতে পারে, পূর্বে যেসকল পথ অতিক্রম করে এসেছে, সেগুলোর পাশে গড়ে ওঠা নিত্য প্রয়োজনাদির সাথে এই পথের কোনো কিছু মিলছেনা! সে তখন পূর্বের কোনো বস্তুর সাথে বর্তমানের কোনো বস্তু মিলাতে না পেরে জমানো সকল জিনিস ছুড়ে ফেলে নতুন করে আবার ভিন্নভাবে ভিন্ন জিনিস জমাতে থাকে।

এভাবেই সে চলতে থাকে, সে চলছে এবং  চলতে থাকবে যতক্ষণ না মহাশক্তি এসে তাকে থামিয়ে দেয়!

প্রজন্মনিউজ২৪/এএইচ

এ সম্পর্কিত খবর

"চির মুসাফির"

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ