প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০৩:৫৩:১০
আদালত প্রতিবেদক: ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ২ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে তাদের আরও একমাস কারাভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন দুপুর ২.২০ মিনিটের দিকে রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। এটা ছিল তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রথম মামলা।
এদিন রায় পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন পর্যবেক্ষণ আদালতে উপস্থিত হন।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে হেফাজত ইসলাম সমাবেশ করে। পরে সমাবেশস্থলে রাত্রিযাপনের ঘোষণা দেয় সংগঠনের নেতারা। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে যৌথ অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে ৬১ জন নিহত হয় বলে দাবি করেছিল অধিকার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই সংখ্যাটি ১৩ বলে জানানো হয়।
এই ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ওই বছরের ১০ জুন সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে আদিলুর ও এলানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৪ সালে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করে।’
‘পাশাপাশি তারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করে, যা তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় অপরাধ। একইভাবে ওই আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর টেষ্টা চালায় এবং সরকারকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালায়, যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০৫ সি ও ডি এবং ৫০৫ এ ধারায় অপরাধ।’
উল্লেখ্য, মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
প্রজন্মনিউজ২৪/এএএম
বিশ্ব সেরা হতে চাইলে কোহলিকে ফলো করতে হবে: লারা
সহিংসতায় বর্তমান ও সাবেক ক্ষমতাসীনরা দায়ি : মোমিন মেহেদী
জবির কলা অনুষদের ডিন : হোসনে আরা বেগম
নোটিশ পেয়ে দুঃখ পাওয়ার কথা থাকলেও আনন্দিত: শামীম ওসমান
বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
আইফেল টাওয়ারের পাশে ছুরিকাঘাত, জার্মান পর্যটক নিহত
খুলনায় ৬টি আসনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীহীন আ.লীগ
খুলনা থেকে ঢাকায় ২১০ টাকায় যাওয়া যাবে